সময়ের সংলাপঃ-
ফাগুনের শাখায় কৃষ্ণচূড়া আবীর মেখেছে গায়
হলুদ গাঁদার প্রস্তুতি চলছে খোঁপায় দেবে সাজ —
এবার বাসন্তিকায়
রমনীর শাড়ির ভাঁজে চোরকাটা যেন লেপটে রয়
প্রেমিকের স্পর্শ পাবার অপেক্ষায়
স্মৃতিরা ভাঁজে ভাঁজে রঙ বদলায়।
বেলা ফুরোবার আগেই, ও ফুল তুমি নেতিয়ে যেও না
ও আসবে শহীদ বেদি থেকে
আমিতো কতোকাল পথ চেয়ে ———
কৃষ্ণচূঁড়াকে বলে রেখেছি ও আসলে পথে আবীর ছড়াতে
জবাদের লালে হলুদ গাঁদাও রাখতে বলেছি
বড্ড ভালোবাসে সে ওসব রঙে আমায় দেখতে
আজও তাই হলুদ বসনে ফাগুনের আগমনে বসে থাকি
ওর অপেক্ষায়
এক মুঠো কবিতা নিয়ে
আবীরে আবীরে একুশের প্রভাত ফেরীতে গাইতে থাকি
তুমি আসবে বলে
জানালাগুলো খুলে রেখেছি একুশ বরণে তোমার মুচকি হাসি দেখবো বলে
আসছো তো! আসতো তো! আমি ফাগুনের আগুনে– দেখো আজও রাঙিয়ে রেখেছি নিজেকে।
আসছো তো! আসছো তো!
উত্তপ্ত আজও আমার অশ্রু।
দ্রোহের আগুনে নিঃস্ব করিনি কোনদিনও
ফাগুন তুমি একুশকে বলো আমি আজও লাল বসনে
ফাগুন একুশকে বলো ওর স্পর্শে আমি রাঙাতে চায় প্রভাতের সূর্যটাকে — একুশের বাসন্তিকায়।