মোঃ আরিফুজ্জামান সাগর, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
সদ্যপ্রয়াত সংসদ সদস্য মোসলেম উদ্দিন আহমেদকে কর্মী থেকে নেতা হওয়া এবং নেতৃত্বের প্রতি অবিচল থাকার অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত বলে আখ্যা দিয়ে তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, এক-এগারোর পট পরিবর্তের পর যে প্রান্তিক নেতৃবৃন্দ জননেত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে দাঁড়িয়েছিলেন, তার মধ্যে মোসলেম উদ্দিনও ছিলেন, আমি তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।
সোমবার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে চট্টগ্রাম-৮ আসনের সদ্যপ্রয়াত সংসদ সদস্য ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোসলেম উদ্দিন আহমেদের জানাযা শেষে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন মন্ত্রী। দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ইঞ্জি. মোশাররফ হোসেন এমপি, চট্টগ্রামের সামশুল হক চৌধুরী এমপি, এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ প্রয়াতের শেষকৃত্যে অংশ নেন।
প্রয়াতের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা এমন একজন নেতা হারিয়েছি যার সাথে আমাদের দীর্ঘ কয়েক দশকের সম্পর্ক। তার জীবন থেকে অনেক শিক্ষণীয় আছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, কিভাবে কর্মী থেকে নেতা হওয়া যায়, কর্মীদের সাথে কিভাবে সার্বক্ষণিক থাকা যায় এবং নেত্রী এবং নেতৃত্বের প্রতি কিভাবে অবিচল থাকা যায়, সেটি তার কাছ থেকে শেখার আছে।
ইতিহাসের দিকে তাকিয়ে সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান বলেন, মোসলেম উদ্দিন আহমেদ আমাদের দলের একজন পোড়খাওয়া কর্মী ছিলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিলেন। তিনি এবং এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী এক সাথে পাকিস্তানিদের হাতে ধরা পড়েছিলেন ও পরে পাগলের অভিনয় করে মুক্তি লাভ করেন।
ড. হাছান বলেন, ‘তার জীবন কর্মী থেকে নেতা হওয়ার জীবন। তখন চট্টগ্রাম শহর ছাত্রলীগ ছিলো, মোসলেম উদ্দিন চট্টগ্রাম শহর ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন, এরপর তিনি যুবলীগের সভাপতি হন। তারপর তাকে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। দীর্ঘ দুই দশক তিনি সেই দায়িত্ব পালন করেন এবং শেষে এক দশকের বেশি সময় তিনি সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রামের বোয়ালখালী-চান্দগাঁও আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোসলেম উদ্দিন আহমেদ রোববার দিবাগত রাত ১২টা ৪৭ মিনিটে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ক্যান্সারের চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭৩ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। ১৯৭০ সালে ছাত্রলীগের চট্টগ্রাম শহর শাখার ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে ১৯৭১ সালে তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। ১৯৮২ সালে ছাত্রলীগের চট্টগ্রাম শাখার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নিযুক্ত হন।আওয়ামী লীগের চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা শাখার বর্তমান সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন তিনি
দাইয়ানুর রহমান (সম্পাদক) তাপস কুমার ঘোষ (প্রকাশক) শিমুল হোসেন, (নির্বাহী সম্পাদক) আজহারুল ইসলাম-বাবলু হোসেন ( নির্বাহী সম্পাদক)
অফিসঃ পশ্চিম শেওড়াপাড়া- ইকবল রোড বাসা নং- ৪১৬/৪ মিরপুর ঢাকা-১২১৬,
Email: Info@sumoyersonlap.com, taposhg588@gmail.com,shimul00252@gmail.com
01715522822, 01728.855627, 01710118632, 01709255325
https://www.sumoyersonlap.com
কপি করা নিষিদ্ধ ও দণ্ডনীয় অপরাধ।