শিমুল হোসেন,নিজস্ব প্রতিবেদক।
সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের পল্লীতে ১৭টি ভুমিহীন পরিবরকে উচ্ছেদের ঘটনায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। শিশু বয়োবৃদ্ধসহ নারী পুরুষ আতঙ্কিত অবস্থায় ১৮ বছরের সাজানো গোছানো সংসার ভেঙ্গে রাস্থায় বসেছে। ঘটনাটি উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের রামনগর গ্রামের কেএম মোশাররফ হোসেন আদর্শ গ্রামে ঘটেছে।
সরেজমিন সুত্রে জানাগেছে, রামনগর খালপাড়ে সরকারি জায়গায় খাসজমিতে ২০০৩ সাল হতে বসবাসরত ১৭টি ভূমিহীন পরিবার। তৎকালীন ইউপি চেয়ারম্যান কেএম মোশাররফ হোসেন ঐ সতেরটি পরিবারকে বসবাসের সুযোগ করে দেয়। সেই থেকে নানান হুমকী ধামকী আর ভয়ভীতির মধ্যদিয়ে তারা বসবাস করে আসছিলো। হঠাৎ সোমবার (২৪জুন) সকালে ভ্যেকু মেশিন, ঢোলী ও বিভিন্ন এলাকা থেকে শতাধিক লাঠিয়াল জড়ো করে প্রভাবশালভ রামনগর এলাকার মৃত: শেখ লিয়াকত আলীর পুত্র নূরনবী (বাবু) ও তার জামাতা নাজমুল শাকিব। তারা আদালতের আদেশে ভুমিহীনদের উচ্ছেদ করছে বলে জানান।
ইউনিয়ন সহকারী ভুমি কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম জানান, আদালতের আদেশে তাদেরকে নিজ নিজ মালামাল সরিয়ে নিতে বলা হয়।তবে ঐখানে বসবাসকারী আব্দুস সাত্তার গাজীর ছেলে আলামিন গাজী (৩৫), মৃত মেছের আলী শেখের ছেলে শেখ আব্দুল আজিজ (৬০), মৃত আঃ বারি শেখের মেয়ে সফুরা খাতুন (৪৫), মৃত খোদা বক্স শেখের মেয়ে খাদিজা খাতুন, আবুল কাশেম পিং আবু বাক্কার গাইন এর ছেলে আবুল কাশেম (৪৫), আবুল হোসেন গাইন এর ছেলে সিরাজুল ইসলাম (৫১) ও আব্দুল্লাহ গাইন, ছন্নত আলী তরফদার, হোসেন আলী তরফদার, আবু বাক্কার গাইন, আলামিন গাইন গং জানান, তাদেরকে আদালতের কোনো নোটিশ দেওয়া হয়নি, এমনকি নায়েব অফিস থেকেও দেওয়া হয়নি কোনো নোটিশ। ১৭ টি পরিবারকে উচ্ছেদের বিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান সাফিয়া পারভীন জানান, ভুমিহীন পরিবারদের পুনর্বাসন করে উচ্ছেদ করলে কিছুটা মানবিক হতো। তাদের আহাজারী আর আর্তনাদ এলাকায় তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়েছে।