শিমুল হোসেন,নিজস্ব প্রতিবেদক।
সাতক্ষীরা কালিগঞ্জ উপজেলার পল্লীতে আদালতের আদেশ উপেক্ষা করে বিরোধীয় জমিতে পাঁকাঘর নির্মানের চেষ্টা,পুলিশের হস্তক্ষেপে অন্যের জমি জবর দখলে ব্যার্থ।
ঘটনাটি উপজেলার তারালী ইউনিয়নের বরেয়া গ্রামে ঘটেছে।অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, আদালতের দেওয়া (১৪৫ ধারা) নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জোরপূর্বক বসত ভিটার জমিতে পাঁকা ঘর নির্মাণ ও দখলের চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চলমান P- ২৪৫৯/২২নং কেসের বাদী আবুল কাশেম সানা’র ছেলে কামরুল ইসলাম, কাশমির হোসেন ও আবুল কালাম আজাদ সানা।
মামলার বিবাদী আব্দুর রহমান সানার ছেলে মুশফিকুর রহমান ও ফজলুর রহমান সানার ছেলে তারিফুর রহমানদের সাথে জায়গা জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো। এ মামলার বিবাদী পক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ইং ৬/৩/২৩ তারিখে আদালত কর্তৃক নালিশী জমির সীমানা নিদ্ধারন করার জন্য এসিল্যান্ড কালিগঞ্জ বরাবর প্রেরন করেন।
কিন্তু বাদীপক্ষ সময়ের আবেদন করে মাপজরিপে কালক্ষেপণ করতে থাকে। পরবর্তীতে গত ইং ২৫/৪/২৩ তারিখে অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ৩ নং আদেশে উভয় পক্ষকে নালিশি জমিতে নতুন কোন অবকাঠামো না করতে নির্দেশনা প্রদান করে।
কিন্তু ধুরন্ধর বাদীপক্ষ কামরুল ইসলাম, কাশমির হোসেন, আবুল কালাম আজাদ সহ অজ্ঞাত ব্যক্তিরা আদালতের ১৪৫ ধারার আদেশ না মেনে সোমবার (১ লা মে) সকাল ৭টায় জোরপূর্বক ঘর নির্মাণ করার চেষ্টা করতে থাকে। থানা পুলিশকে বিষয়টি জানালে থানার এস আই নকীব পান্নু সহ-সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনাস্থলে পৌঁছে নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেন এবং শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ আদালতের মাধ্যমে বাদী-বিবাদী দু’পক্ষকেই নোর্টিশ দেন।
এ ব্যাপারে কালিগঞ্জ থানার এসআই নকীব পান্নু এ প্রতিনিধিকে জানান, আদালতে মামলা মোকাদ্দমা হয়েছে সেহেতু বিষযটি আদালতই সুরাহা দিবে। বাদী ও বিবাদী পক্ষদের ঐ জমিতে যাওয়া বৈধ নয় এবং আদালতের নির্দেশে উভয় পক্ষকে নোর্টিশ দেওয়া হয়েছে। উভয় পক্ষের কাগজপত্র নিয়ে ধার্য্য তারিখে আদালতে উপস্থিত হওয়ার জন্য বলা হয়েছে। এরমধ্যে কেহ আইন শৃংখলা বিঘ্ন সৃষ্টির চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।