হাফিজুর রহমান,কালিগঞ্জ থেকেঃ
পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে বাড়িতে ফেলে সন্ত্রাসী কায়দায় বেধড়ক পিটিয়ে ১ শিক্ষার্থী সহ ৫জন নারীকে রক্তাত জখম করেছে প্রতিপক্ষরা। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার সময় সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার ভাড়া শিমলা ইউনিয়নের চৌবাড়ীয়া গ্রামে।
সন্ত্রাসী হামলায় আহতদের স্থানীয় গ্রামবাসী রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে কালিগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ওই রাতেই ভর্তি করেছে। গুরুতর আহতরা হলো চৌবাড়ীয়া গ্রামের ওকসেদ কারিকরের কন্যা রাফিজা বেগম (২২) খাদিজা খাতুন (৩০) আরশাদ কারিকরের কন্যা চম্পা খাতুন (১৯) এবং তার বোন নলতা মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী সাদিয়া সুলতানা এবং প্রতিপক্ষ সিরাজুল কারিকরের স্ত্রী পারভিন (৩৫)।
উক্ত ঘটনায় অকসেদ কারিকরের স্ত্রী ফরিদা বেগম বাদী হয়ে ৫/৬ জনকে আসামি করে বুধবার থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছে। থানার এজাহার সূত্রে এবং হাসপাতালে ভুক্তভোগী আরশাদ কারিকর কন্যা রাফিজা, খাদিজা, চম্পা সহ একাধিক ব্যক্তি সাংবাদিকদের জানান ইটভাটায় কাজে যাওয়ার জন্য অকছেদ কারিকরের নিকট হতে একই গ্রামের সিরাজুল কারিকর ১ লক্ষ টাকা অগ্রিম গ্রহণ করে। কিন্তু কাজে না যেয়ে সে বাড়িতে পালিয়ে থাকে। অকছেদ এর নিকট ভাটা মালিক টাকা চাইলে সে ফোন করে তার স্ত্রীকে সিরাজুলের বাড়িতে পাঠায়। পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে ক্ষিপ্ত হয়ে সিরাজুল এবং তার পুত্র সোহাগ এর নেতৃত্বে পারভীন, আখি, জেসমিন ৪/৫ জন মিলে তাদেরকে ধরে বেধড়ক পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। ওই সময় তাদের ডাক চিৎকারে গ্রামবাসী এগিয়ে এলে সিরাজুলগংরা পালিয়ে যায়। ঘটনার সত্যতা জানার জন্য থানার উপ পরিদর্শক বুলবুলের নিকট জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের জানান বিষয়টি তদন্ত করে সত্যতা পাওয়া গেছে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।