শিমুল হোসেন,নিজস্ব প্রতিবেদক।
বাঙালি জাতির স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা অবিস্মরণীয় গৌরবের এক অনন্য দিন ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উপলক্ষে কালিগঞ্জে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ, রচনা প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা ও সাঙ্গীত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার বেলা ১১টায় উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রহিমা সুলতানা বুশরা’র সভাপতিত্বে ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ এর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি’র বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা ৩ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী আলহাজ্ব অধ্যাপক ডাঃ আ ফ ম রুহুল হক। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা ৪ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য এস এম জগলুল হায়দার। কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি সাঈদ মেহেদী।
উপস্থিত ছিলেন কালিগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কর্মকর্তা আজগার আলী।কালিগঞ্জ উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান দিপালী রানী ঘোষ,উপজেলা প্রশাসনিক কর্মকর্তা হোসনে আরা খানম।উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা অর্ণা চক্রবর্তী, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ওয়াসিম উদ্দিন।শ্যামনগর উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আলহাজ্ব জি এম আকবর কবির। মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার ও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিম,রতনপুর ইউপি চেয়ারম্যান আলিম আল রাজি টোকন,সাহিত্যিক ও প্রাবান্ধিক অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক গাজী আজিজুর রহমান। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাস্টার নরিম আলী,সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাতক্ষীরা জজ কোর্টের পি পি এ্যাডভোকেট শেখ মোজাহার হোসেন কান্টু।
কালিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি শেখ সাইফুল বারী সফু,সাধারণ সম্পাদক সুকুমার কুমার দাশ,যুগ্ন সাধারন সম্পাদক এম হাফিজুর রহমান শিমুল,তথ্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক এস এম আহম্মাদ উল্লাহ বাচ্চু। কালিগঞ্জ বীর মুক্তিযোদ্ধা সহকারী কমান্ডার শেখ মনির আহমেদ,অর্থ কমান্ডার কালীগঞ্জ শেখ আব্দুর রউক। উপজেলা লেডিস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদিকা ইলাদেবী মল্লিক প্রমুখ।
এসময় বক্তা’রা বলেন”ঐতিহাসিক ৭ ই মার্চ ১৯৭১ সালের এই দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা সংগ্রামের চূড়ান্ত পর্যায়ে এসে মুক্তিযুদ্ধের জন্য বাঙালি জাতিকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছিলেন।পরাধীনতা থেকে বাঙালি জাতির মুক্তি এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের এই ভাষণ এক অনন্যসাধারণ ও তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। এই ভাষণের মধ্যে বঙ্গবন্ধু স্পষ্টভাবেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা শব্দটি উচ্চারণ করেছিলেন এবং মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে সেই স্বাধীনতা অর্জনে গেরিলাযুদ্ধের প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন।