শিমুল হোসেন,নিজস্ব প্রতিবেদক।
কালিগঞ্জ উপজেলার রতনপুরে বাল্যবিবাহকে প্রতিবাদ করতে গিয়ে ইউপি সদস্যা লাঞ্ছিত’র অভিযোগ উঠেছে।মঙ্গলবার (২৮ শে মার্চ) সকাল ৯ টায় ইউনিয়নের গোয়ালপোতা গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায় ১১নং রতনপুর ইউনিয়নের মোঃ জাহিদুন্নবী মুন্না’র স্ত্রী ১,২,৩ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যা নুর জাহান খাতুন (৩৭) লাঞ্ছিত হয়। এ ঘটনায় কালিগঞ্জ উপজেলা ১১ নং রতনপুর ইউনিয়নের গোয়ালপোতা গ্রামের বিবাদী আমির আলী গাজীর পুত্র মোঃ রেজাউল ইসলাম (৪৭) মৃত আবুল গাজীর স্ত্রী ইয়ারুন নেছা (৫২) রেজাউল ইসলামের স্ত্রী সালমা খাতুন (৩৮) এর বিরুদ্ধে।
অভিযোগকারী ইউপি সদস্যা নূর জাহান খাতুন ঘটনা স্থলে গেলে প্রতিনিধিকে জানান ১ ও ৩ নং বিবাদীর পুত্র শামিম হোসেন (২২) এর সহিত ২ নং বিবাদীর কন্যা মোছাঃ আয়েশা খাতুন (১৪) এর ইতিপূর্বে বাল্যবিবাহ দেয়। বিষয়টি আমি জানতে পেরে স্থানীয় (ইউপি) সদস্যা হিসাবে আজ ইং ২৮/০৩/২০২৩ তারিখ সকাল ৯ টার সময় ২নং বিবাদীর বাড়িতে যাইয়া দেখতে পাই পূর্ব হইতে ১ ও ৩ নং বিবাদী’রা তথায় অবস্থান করিতেছে। আমি বিবাদীদের একত্রে পাইয়া উপরোক্ত বাল্যবিবাহের বিষয়ে জানতে চাইলে বিবাদীরা আমাকে আশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করিতে থাকে।আমি প্রতিবাদ করিলে ১নং বিবাদী’র হুকুমে সকল বিবাদী রা আমাকে এলোপাতাড়ি কিল, চড়,লাথি, মারিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলা ফোলা জখম করে।১ নং বিবাদী আমার পরনের কাপড় চোপড় টানিয়া ছিড়িয়া বিবস্ত্র করে শীলতা হানি ঘটায়।
৩ নং বিবাদী’র কাজ থেকে ২ নং বিবাদী নিকট হতে একটি কাস্তে চাইয়া নিয়া হত্যার উদ্দেশ্যে আমার গলায় ধরিয়া রাখিয়া প্রকাশ হুমকি দিয়ে বলে। উপরোক্ত ঘটনার বিষয় কাউকে কিছু জানালে আমাকে মারপিট করিবে খুন যখন করিবে আমাকে মিথ্যা মামলা সহ মেম্বারের স্বাদ মিটাইয়া দিবে,আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে সহ বিভিন্ন ভাবে ক্ষতি করবে। আমার ডাক চিৎকার শুনে স্থানীয় জেসমিন বেগম, আনজুয়ারা খাতুন,লাকি আক্তার,ফিরোজা খাতুন সহ অনেকে বিবাদীদের কবল হইতে আমাকে উদ্ধার করে।পরবর্তীতে আমি স্থানীয় গ্রাম্য চিকিৎসক দারা প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করি। বিষয়টি আমি আমার স্বামী সহ আমার পরিবারের সদস্যদের সহিত আলাপ আলোচনা করিয়া কালীগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি।
বিষয়টি বিবাদী আমির আলী গাজীর পুত্র মোঃ রেজাউল ইসলাম এর জানতে চাইলে তিনি প্রতিনিধিকে বলেন আমার পুত্র শামিম হোসেন এর সহিত ২ নং বিবাদী ইয়ারুন নেছা’র কন্যা মোছাঃ আয়েশা খাতুন এর বাল্যবিবাহ বিষয়টি অস্বীকার করেন। একপর্যায়ে সাংবাদিকদের সাথে খুব রাগান্বিত হয়ে কথা বলেন।
বিষয়টি কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মামুন রহমান কাছে জানতে চাইলে তিনি প্রতিনিধিকে জানান, অভিযোগ পেয়েছি তদন্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।