হাফিজুর রহমান,কালিগঞ্জ থেকে:
মহামান্য হাইকোর্টের আদেশ অমান্য করে পরিচালিত ব্রাদার্স ব্রিকস জেলা প্রশাসনের নির্দেশে ভ্রাম্যমান আদালত কর্তৃক অভিযানে ভাঙার কাজ শুরু হয়েছে। বছরের পর বছর কোন কাগজপত্র ছাড়া অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ব্রাদার্স ব্রিকস হাইকোর্ট জেলা, উপজেলা প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে বহাল তবিয়াদের কাজ চালিয়ে আসছিল জামায়াত নেতা আব্দুল ওয়াদুদ ও তার ভাইয়েরা। গত ৩ জানুয়ারি বেলা ১২টার সময় জেলা প্রশাসকের নির্দেশে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার মথুরেশপুর ইউনিয়নের শীতলপুর গ্রামে গড়ে ওঠা অবৈধ ব্রাদার্স ব্রিকস ওরফে সিয়াম ভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) আজাহার আলী এবং সাতক্ষীরার বন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে অবৈধ ইট ভাটাটি বন্ধ ও ৫০ হাজার টাকা জরিমান ঘোষণা করা হয়। উক্ত নির্দেশ অমান্য করে জেলা, উপজেলা প্রশাসন ও বিজ্ঞ আদালত কে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে বহাল তবিয়াদের ভাটার কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। যে কারণে মঙ্গলবার, (৭ ফেব্রুয়ারি) বেলা১১ টার সময় ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আজাহার আলী নেতৃত্বে সাতক্ষীরার বন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শরিফুল ইসলাম অভিযান চালিয়ে ভেকু দিয়ে অবৈধ ইটভাটা ভাঙার কার্যক্রম শুরু করেছে যান্ত্রিক গোলযোগের জন্য কার্যক্রম সাময়িক স্থগিত করে। আজ থেকে আবার বুলডোজার, ভেকু নিয়ে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আজহার আলী জানান। ওই সময় ভাটা মালিক আব্দুস সেলিম ওরফে বাবলু স্ট্যাম্পে অঙ্গীকার নামা দিয়ে রেহাই পায়। শীতলপুর গ্রামের উপজেলা জামায়াতের সাবেক সেক্রেটারি ও একাধিক সহিংস মামলার আসামি আব্দুল ওদুদ ও তার ভাই আব্দুস সেলিম এবং শামসুল আলম কয়েস মিলে শীতলপুর গ্রামের ভিতরে কিছু সরকারি খাস জমি দখল করে অবৈধভাবে ভাটা নির্মাণ করে চালিয়ে আসছিল।
এই অবৈধ ভাটার কালো ধোয়ায়এলাকায় ফসলের জমি ছাড়াও বায়ু দূষণে এলাকায় বসবাস অযোগ্য হয়ে পড়ায় ভাটাটি অপসারণের দাবিতে এলাকাবাসী জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের নিকট অভিযোগ করলে একাধিকবার ভাটাটি বন্ধ ঘোষণা করলেও প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে বহাল তবিয়াদে চালিয়ে আসছিল।
অতঃপর এলাকাবাসী বিষয়টি নিয়ে মহামান্য হাইকোর্টে রিট পিটিশন মামলা দায়ের করে। যার প্রেক্ষিতে মহামান্য হাইকোর্ট অবৈধ ভাটাটি অপসারণের নির্দেশ দেন কিন্তু নিজের চ্যালেঞ্জ করে ভাটা কর্তৃপক্ষ হাইকোর্টে আপিল করলে বিষয়টি হাইকোর্ট বিভাগ বন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের চেয়ারম্যানের উপর দায়িত্ব দেন। এছাড়াও মহামান্য হাইকোর্ট দু মাসের মধ্যে ভাটার স্থান পরিবর্তন করার জন্য আদেশ দেন কিন্তু সে আদেশ অমান্য করে ওয়াদুদ গংরা এলাকার শত শত লোকের নিকট থেকে ইট দেওয়ার নাম করে প্রায় দুই তিন কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। পরে ভুক্তভোগীদের টাকা না দিতে পারায় এবং আদালতে একাধিক প্রতারণার মামলা থাকায় ভাটাটি সানকা গ্রামের সৌদি প্রবাসী আবদুস সবুরের নামে বছরে ২৫ লক্ষ টাকায় ইজারা দিয়ে দুই বছরের অগ্রিম ৫০ লক্ষ টাকা নিয়ে ভাটাটি চালিয়ে আসছিল লিজগ্রহীতা প্রবাসী আব্দুস সবুর তার স্ত্রী রিনা খাতুন কে দিয়ে তার পুত্র সিয়ামের নাম ব্যবহার করে সিয়াম-ভাটা হিসেবে পরিচালনা করে আসছিল।
দাইয়ানুর রহমান (সম্পাদক) তাপস কুমার ঘোষ (প্রকাশক) শিমুল হোসেন, (নির্বাহী সম্পাদক) আজহারুল ইসলাম-বাবলু হোসেন ( নির্বাহী সম্পাদক)
অফিসঃ পশ্চিম শেওড়াপাড়া- ইকবল রোড বাসা নং- ৪১৬/৪ মিরপুর ঢাকা-১২১৬,
Email: Info@sumoyersonlap.com, taposhg588@gmail.com,shimul00252@gmail.com
01715522822, 01728.855627, 01710118632, 01709255325
https://www.sumoyersonlap.com
কপি করা নিষিদ্ধ ও দণ্ডনীয় অপরাধ।