তাপস কুমার ঘোষঃ
সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের বন্ধকাটি গ্রামে মুজিব কিল্লা নির্মাণের ৬ মাসের মধ্যে প্লাস্টার খসে পড়তে শুরু করেছে। সিডিউল অনুযায়ী সঠিক মানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার না করে প্রকল্পের কাজ যেনতেন ভাবে করার কারনে এমন অবস্থা বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ইউপি মেম্বর খলিল সরদার।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের বন্ধকাটি গ্রামে দুই কোটি ৮ লক্ষ ৩৩ হাজার টাকা ব্যায়ে মুজিব কিল্লা নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু নির্মানের ৬ মাসের মধ্যে মুজিব কিল্লার প্লাস্টার খসে পড়তে শুরু করেছে এবং সাথে সাথে অনেক জায়গায় ফাটল দেখা দিয়েছে।
ঘুর্ণিঝড় রেমাল আঘাত হানতে পারে এমন সংকেত পাওয়ার পর আজ ২৪ মে ২০২৪ শুক্রবার সকালে বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের বন্দকাটি গ্রামের মুজিব কিল্লাটি সরেজমিন ঘুরে দেখা হয়। মুজিব কিল্লাটি গত ১৪ নভেম্বর ২০২৩ উদ্বোধন করেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা এমপি।
কিন্তু নির্মাণের ৭ মাসের মধ্যে প্লাস্টার খসে পড়েছে রং নষ্ট হয়ে গেছে। কিল্লার সামনে ব্লক এবং ভিটে ফাটল ধরেছে। সাথে সাথে স্টিলের দরজায় জং ধরেছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ নির্মাণে ৩ নম্বর ইট ও আমা ইটের খোয়া, চিকন বালি এবং নিন্মমানের সিমেন্ট ব্যবহার করার কারনে এমন বেহাল অবস্থা।
বিষ্ণুপুর ইউপি সদস্য খলিল সরদার বলেন, কালিগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) তত্ত্বাবধায়নে ২ কোটি ৮ লক্ষ ৩৩ হাজার টাকা ব্যয়ে মুজিব কিল্লা নির্মাণ করা হয়েছে। তিনি শুরু থেকে (পিআইও) নিন্মমানের নির্মান সামগ্রী ব্যবহার করেছেন। বিষয়টি নিয়ে ততকালিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার রবিউল ইসলাম বরাবর একটি আবেদন দিয়ে ছিলাম। কিন্তু তিনি কোন পদক্ষেপ নেননি। এমত অবস্থায় বন্দকাটি মুজিব কিল্লাটি উদ্বোধনের ৭ মাসের মধ্যে প্লাস্টার খসে পড়তে শুরু করেছে।
বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেন যে, নির্মানের সময় নিন্মমানের নির্মান সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে এমন একটি অভিযোগ উপজেলা প্রকল্প অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর দিয়ে ছিলাম। তারা কি পদক্ষেপ নিয়ে ছিলেন তারাই জানে। আপনি বিষয়টি তাদের অবহিত করতে পারেন।
বিষয়টি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিরাজ হোসেন এর নিকট জানতে চাইলে তিনি হোটসআপ ম্যাসেজে বলেন, অফিস টাইমে বলতে পারবো।
বন্দকাটি মুজিব কিল্লার বেহাল দশা সম্পর্কে নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান ইঞ্জনিয়ার শেখ মেহেদী হাসান সুমন বলেন বিষয়টি লজ্বা জনক ও নিন্দনীয়। মাননীয় প্রধান মন্ত্রী নিজে উদ্বোধন করলেন এবং ৭ মাসের মধ্যে প্লাস্টার খসে পড়া শুরু করেছে এটা সুষ্ট তদন্ত হওয়া দরকার। এধরনের কাজ মেনে নেওয়া যায় না।