শিমুল হোসেন,নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
কালিগঞ্জে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে প্রি-ক্যাডেট স্কুলের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। সরকারি প্রজ্ঞাপনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সোমবার (১৫ মে) সকালে উপজেলার মথুরেশপুর ইউনিয়নের শীতলপুরে অবস্থিত আল-আমিন প্রি-ক্যাডেট স্কুলের শিশু শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করেন অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান। এতে করে অভিভাবকদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। জানা গেছে, অতি প্রবাল ঘূর্ণিঝড় মোখা'র কারণে চট্টগ্রাম, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রাথমিক পর্যায়ে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও উপানুষ্ঠিক শিক্ষা ব্যুরোর লার্নিং সেন্টার ও শিশু কল্যাণ ট্রাস্টের বিদ্যালয়সমূহ ১৪ ও ১৫ই মে রবি ও সোমবার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেন সরকার। গত ১৩ই মে শনিবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বিদ্যালয়-১ অধিশাখার উপ-সচিব মোহাম্মদ কামাল হোসেন স্বাক্ষরিত ৩৮.০০.০০০০.০০৭.০৮.০০২.২০২১-১১৮ নং স্মারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করেন। প্রজ্ঞাপনে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকবৃন্দের কর্মস্থলে অবস্থান করতে বলা হয়, তবে সকল শিক্ষাক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, স্কুলের সামনে জাতীয় পতাকা উড়ছে। সকল শিক্ষক মন্ডলীসহ অধ্যক্ষ কাজে ব্যস্ত রয়েছে। প্লে শ্রেণীর আরবী, মডেল-১ শ্রেণীর গণিত, মডেল-২ শ্রেণীর কম্পিউটার, মডেল-৩ শ্রেণীর প্রাথমিক বিজ্ঞান, মডেল- ৪ ও ৫ শ্রেণীর বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ে পরীক্ষা চলছে। আর শ্রেণীকক্ষে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা পর্যবেক্ষণ করছেন কয়েকজন শিক্ষক।
স্কুলের প্লে'র শিশু শিক্ষার্থী তাহমিদ হোসাইন, মাইমুনা ও আব্দুর রহমান বলেন, আজ আমরা সুন্দরভাবে পরীক্ষা দিয়েছি। এ সময় কয়েকজন শিক্ষার্থীর অভিভাবক সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, আমাদের শিশুদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করার জন্য এই স্কুলে ভর্তি করেছি। কিন্তু এখন দেখছি এরা সরকারি নির্দেশনা কোনটাই মানে না।
এমনকি কয়েকবার অভিযোগ করেছি কালো রং এর স্কুল ড্রেস পরিবর্তন করতে। তারপরও তীব্র গরমে এখনও বাধ্যতামূলক কালো স্কুল ড্রেস পরিধান করানো হচ্ছে শিশুদের। এতে বাচ্চারা খুব কষ্ট পাচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অত্র স্কুলের এক শিক্ষক বলেন, বর্তমানে স্কুল কতৃপক্ষ সরকারি নির্দেশনা মানতে নারাজ। তেমনি অধ্যক্ষ সরকারি সকল নির্দেশনা কিছুতেই মানেননা। বিষয়টি সম্পর্কে অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান বলেন, প্রতিষ্ঠানটি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর পরিচালনা করেন। স্কুলে আজকের পরীক্ষার বিষয়টি উপজেলা শিক্ষা অফিসার অবগত আছেন। এক প্রশ্নের জবাবে অধ্যক্ষের এমন ভাষ্য, সকল সরকারি নিয়ম মেনে চললে প্রতিষ্ঠান চালানো সম্ভব হয়ে উঠে না। এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা একেএম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমাদের দপ্তর স্কুলটি পরিচালনা করেন। তবে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে আজ স্কুলে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার নেওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। বিষয়টি জানতে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আশীষ কুমার মন্ডলের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি মিটিংয়ে আছি পরে যোগাযোগ করেন। এই বলে ফোন কেটে দেন। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রহিমা সুলতানা বুশরা বলেন, বিষয়টি অবগত হয়েছি। সরকারি নির্দেশনা অমান্য করার কোন সুযোগ নেই। লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দাইয়ানুর রহমান (সম্পাদক) তাপস কুমার ঘোষ (প্রকাশক) শিমুল হোসেন, (নির্বাহী সম্পাদক) আজহারুল ইসলাম-বাবলু হোসেন ( নির্বাহী সম্পাদক)
অফিসঃ পশ্চিম শেওড়াপাড়া- ইকবল রোড বাসা নং- ৪১৬/৪ মিরপুর ঢাকা-১২১৬,
Email: Info@sumoyersonlap.com, taposhg588@gmail.com,shimul00252@gmail.com
01715522822, 01728.855627, 01710118632, 01709255325
https://www.sumoyersonlap.com
কপি করা নিষিদ্ধ ও দণ্ডনীয় অপরাধ।