আব্দুল কাদের, নিজস্ব প্রতিনিধি:
কালিগঞ্জ সরকারি পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহপাঠী ফাহিমের ছোড়া প্লাস্টিক পাইপের আঘাতে ডান চোখ হারিয়েছে দশম শ্রেণীর ছাত্র রুদ্রনীল।
গত বৃহস্পতিবার (২২ মার্চ) বেলা আনুমানিক ১২টার দিকে স্কুলে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের সময় ঘটনাটি ঘটেছে।
কালিগঞ্জ সরকারি স্কুলের সহকারি এক শিক্ষক জানান, ওই স্কুলের এক ছাত্রের ছোড়া প্লাস্টিকের পাইবের আঘাতে রুদ্রনীলের ডান চোখের মনি ফেটে রক্তাক্ত জখম হয়।
দ্রুত স্কুল কর্তৃপক্ষ তার পরিবারের সদস্যদের সংবাদ দিলে তাকে প্রথমে কালিগঞ্জ উপজেলার নলতা আহছানিয়া মিশন চক্ষু হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসারত ডাক্তারদের পরামর্শে তাকে চিকিৎসার জন্য অ্যাম্বুলেন্স যোগে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়।
বর্তমান রুদ্রনীল ঢাকা শেরেবাংলা নগর জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট হাসপাতালে তার চোখের অপারেশন করা হয়েছে। ডাক্তাররা জানিয়েছে তার ডান চোখ নষ্ট হয়ে গেছে। সে আর চোখে দেখতে পারবে না এই সংবাদে তার পরিবারের সদস্যরা কান্নায় ভেঙে পড়ে। বর্তমান সে মারাত্মক অসুস্থ ডান চোখ দিয়ে কিছুই দেখতে পাচ্ছেনা। রুদ্রনীল এর পিতা প্রণব মজুমদার একজন চাউল ব্যবসায়ী ও তার মা রঞ্জিতা রানী দাস কালিগঞ্জ পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা।
রুদ্র নীলের মা রঞ্জিতা রানী জানান, ছেলের সাথে সহপাঠীদের মনোমালিন্য থাকায় আমার ছেলের সহপাঠী ফাহিম রুদ্রনীলকে কাছে ডেকে চোখে পাইপ দিয়ে আঘাত করেছে।
রুদ্রেনীলের প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য তার মায়ের স্কুলের শিক্ষকদের সমিতি থেকে ১ লক্ষ টাকা লোন নিয়ে বর্তমান তার চিকিৎসা চলছে।
কিন্তু কালিগঞ্জ সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বা অন্যান্য শিক্ষকরা অসুস্থ রুদ্রেনীলের কোন খোঁজ খবর না নেওয়ায় এবং সহযোগিতা না করায় অভিভাবকদের মাঝে চরম ক্ষোভর সৃষ্টি হয়েছে।
বর্তমান রুদ্রনীল ঢাকা জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট হাসপাতাল শেরেবাংলা নগর ঢাকা চিকিৎসাধীন রয়েছে। একজন ছাত্র তার একটি চোখ নষ্ট হয়ে গেলে কিভাবে সে বাকি জীবনটা কাটাবে তার ভবিষ্যৎ নিয়ে খুবই চিন্তিত রুদ্রনীলের পিতা-মাতা এবং পরিবারের সদস্যরা।
রুদ্রনীলের পিতা প্রণব মজুমদার এর গ্রামের বাড়ি বাগেরহাট তার মায়ের চাকরির সূত্রে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলা সদরের বাজার গ্রামে বসবাস করছেন। রুদ্রনীল মজুমদারের চোখের উন্নত চিকিৎসার জন্য তার পরিবার স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।