নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে সাদেক বাহিনীর হুমকী ও ত্রাসে নিরাপত্তাহীনতার অভিযোগে কালিগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সংবাদকর্মী শেখ লুৎফর রহমান। শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) বেলা ১১ টায় কালিগঞ্জ প্রেসক্লাবের কনফারেন্সরুমে সভাপতি শেখ সাইফুল বারী সফু’র সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সুকুমার দাশ বাচ্চু’র পরিচালনায় লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন উপজেলার সন্নিকটে, উপজেলা মাঠের লাক পূর্ব পার্শ্বে আমি বিগত ২০০৪-৫ সালে ৫টি ঘরের পাকা ফাউন্ডেশন নির্মান করি যা পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত আমার নিজস্ব ভোগ দখলী জমির উপরে, যাহা অদ্যাবধি বিদ্যমান ও দৃশ্যমান। অর্থাভাবে আমার বর্ণিত ৫টি ঘরের পাকা ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারেনি। উক্ত সম্পত্তির সত্যতায় স্থানীয় মথুশেরপুর ইউপি চেয়ারম্যান, সহকারী কমিশনার (ভুমি), উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন ভুমি উপ সহকারী কর্মকর্তা, স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাগণ, সাংবাদিকবৃন্দ, ব্যবসায়ীগণ, জনপ্রতিনিধিগণ ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ লিখিত ভাবে আমার নির্মিত ৫টি ঘরের পাকা ফাউন্ডেশনের সত্যতা স্বীকার পূর্বক মতামত প্রকাশ করেছেন।
আমার নির্মিত ৫টি পাকা ফাউন্ডেশনের জায়গাটি ভয়ভীতি, হুমকি প্রদর্শন পূর্বক এযাবৎ বহুবার সাদেক ও তার বাহিনী জোর পূর্বক জবর দখলের জন্য অপচেষ্টা অব্যহত রেখেছে। সম্প্রতি সে জায়গাটি জবর দখল করে আমাকে বিতাড়িত করবে প্রকাশ্যে হুমকি দিচ্ছে। তার হীন কর্মকান্ডে বাঁধা দিলে সে ও তার গুন্ডা বাহিনী দিয়ে আমাকে ও আমার পরিবারবর্গকে জীবনে মেরে ফেলবে, মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দিবে বলে আস্ফালন করছে।আমি নিরুপায় হয়ে থানায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে জিডি করি এবং বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট সাতক্ষীরা আদালতে শান্তিপূর্ন ভোগ দখল থেকে যেন আমাকে বিতাড়িত করতে না পারে সে জন্য ১৪৫ ধারা মামলা করি যা চলমান। ইত্যবসরে সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার বরাবর আমার জীবনের প্রতি হুমকি ও আমার শান্তিপূর্ন ভোগ দখলের যাহাতে ক্ষতি সাধন করিতে না পারে তার জন্য আবেদন করি। তিনি বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নিয়ে কালিগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নিকট উপযুক্ত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আবেদনটি প্রেরণ করেন। তিনি নোটিশ দিয়ে শালিষে উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনেন ও দাখিলকৃত কাগজপত্রাদি বিশ্লেষনসহ অবহিত হন। পরবর্তী নির্দেশ ও আদেশের জন্য যখন অপেক্ষমান তন্মধ্যে সাদেক গংরা আমার নির্মিত ৫টি পাকা ফাউন্ডেশনের মধ্যে জবর দখলের জন্য পুনঃ পায়তারা করছে। তাদের এহেন অন্যায় কর্মকান্ডে বাঁধা দিতে গেলে সেখানে গুরুত্বর শান্তিভঙ্গের সম্ভাবনা অবশ্যম্ভাবী। যে কোন মুহুর্তে তথায় রক্তপাত সহ খুন খারাবি হতে পারে বলে আমার বিশ্বাস জন্মেছে। সাদেক গংরা আদালতে, শালিসে ও একাধিক বৈঠকে বলেছে উক্ত জমি ওয়াপদা কতৃর্পক্ষের নিকট থেকে ডি,সি,আর এর সুবাদে তারা নিয়েছে। মিসেস মহুয়া আক্তার গংদের নামে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার নিকট থেকে মাছ চাষের জন্য ২সন মেয়াদী উক্ত নালিশী জমির নিচু জলাশয় ইজারা নেন ইং—২০০১ সালে, ইতি পূর্বে ১৯৮২—৮৩—৮৪ ইং সালে ওয়াপদা থেকে ১ সন মেয়াদী যে ডিসিআর দেওয়া হয় তাহা নির্মিত ও চিহ্নিত দোকান ঘরের উপর মৃত শেখ আব্দুল কাদের বরাবর। তারা প্রকৃত তথ্য বারংবার কৌশলে আড়াল করার হীনচেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন। প্রকৃত তথ্য হচ্ছে শীতলপুর মৌজায় এস,এ খতিয়ান ৩৪৬, এস,এ দাগ নং ৭০৩, জমির পরিমান ১.৯২ একর। পানি উন্নয়ন বোর্ড অধিগ্রহন করেছে সরকারী ভাবে ১.১০ একর, অবশিষ্ট .৮২ শতক জমি এস,এ রেকর্ডীয় মুল মালিকগণের অনুকুলে থাকা অবস্থায় আমার পিতা শেখ আব্দুর রহিম এস,এস, রেকর্ডীয় মালিকের পুত্র শেখ ইয়াছিন আলীর নিকট থেকে ৫০ শতক জমি রেজিষ্ট্রি কোবলা মুলে খরিদ করিয়া ১৯৮৪ সাল থেকে অদ্যাবধি শান্তিপূর্ন ভাবে ভোগ দখলীকার আছি। উক্ত ঘরের পাকা ফাউন্ডেশন এস,এ ৭০৩ দাগের উপরই অদ্যাবধি বিদ্যমান। যাহা আমাদের খরিদা ও ভোগ দখলীয় সম্পত্তি। সরকারী অধিগ্রহনকৃত সম্পত্তি হইতে অপ্রয়োজনীয় আরও ৫০ শতক জমি মুল এস,এ রেকর্ডীয় মালিকগণকে অতিরিক্ত ফেরত প্রদানের জন্য অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব), জেলা প্রশাসকদ্বয়, পানি উন্নয়ন বোর্ডের সচিব জোর সুপরিশ করেছেন। এছাড়া মহামান্য হাইকোর্ট নালিশী জমিতে সংশ্লিষ্ট সরকারী কোন প্রতিষ্ঠান বা তাহাদের কোন প্রতিনিধি অনুপ্রবেশ করিতে পারিবেন না মর্মে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন, যাহা অদ্যবধি বলবৎ আছে। আদালতের আদেশের তোয়াক্কা না করে তারা সেখানে অন্যায় ভাবে অনুপ্রবেশ ও ঘর বাড়ি, দোকান ঘর, নির্মাণে বলশক্তি প্রদর্শন ও অন্যায় শক্তি প্রয়োগ করে চলেছে। বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে উল্লেখিত নালিশী জমির বিষয়ে ১৪৫ ধারা মতে মামলা হলে নালিশী জমি দখল বিষয়ক মন্তব্য প্রদানের জন্য সহকারী কমিশনার ভুমিকে দায়িত্ব প্রদান করলে তিনি স্থানীয় ইউনিয়ন উপ সহকারী ভুমি কর্মকর্তাকে তদন্তের আদেশ দেন। তিনি উভয় পক্ষকে নোটিশ প্রদান করে নালিশী জমি সরেজমিনে তদন্ত করে শুনানীকালে উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে উভয়পক্ষের দাখিলী কাগজ পত্রাদি দেখে সঠিক তদন্ত চিত্র পেয়েছেন মর্মে তদন্ত মন্তব্য সহকারে সহকারী কমিশনার ভুমিকে প্রেরণ করেন। অতপর সহকারী কমিশনার ভুমি অধিকতর তদন্ত করে পূর্বের তদন্তের সাথে একমত পোষন করে নালিশী জমির দখল তদন্ত প্রতিবেদন বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করেন।দখল তদন্ত প্রতিবেদনটি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা চেয়ারম্যান কালিগঞ্জ, স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের মতামত, সর্বপরি সহকারী কমিশনার ভুমি অধিকতর তদন্তের সাথে এক কথায় সকলের মতামতের সাথে প্রকৃত সত্য তথ্যটি প্রতিভাত হয়েছে। অথচ সাদেক গংরা ইউনিয়ন ভুমি উপ সহকারী কর্মকর্তা বাবু নন্দলাল এর অফিসে যেয়ে স্ট্যাফদের সামনে তাকে অকথ্য ভাষায় গালি ও বিভিন্ন ভয়ভীতি এবং হুমকী দিয়েছে। লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন সাদেক গং তাকে তালিকাভুক্ত যুদ্ধাপরাধী বলে অসত্য, মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ করে সমাজে হেয় করছে। যার তীব্র প্রতিবাদ জানান