হাফিজুর রহমান, কালীগঞ্জ থেকে :
অস্ত্রধারী মুখোশ পরিহিত ৭/৮জনের একটি সশস্ত্র চোর চক্রের সদস্যরা সপ্তাহ না পেরুতেই বাড়ির প্রাচীর এর গেট ও বাড়ির গ্রিল কেটে চেতনা নাশক স্প্রে ছিটিয়ে পরিবারের সদস্যদের অজ্ঞান করে আবারও ১ রাতে ২বাড়িতে দুধর্ষ চুরি সংগঠিত হয়েছে।
চোর চক্রের সদস্যরা নগদ ৩ লক্ষ টাকা ১৫ ভরি স্বর্ণ, ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী,দামী কাপড় চোপড় সহ ১৫ লক্ষ টাকার মালামাল নিয়ে গেছে। গ্রামবাসীর তাড়া খেয়ে বাগানে ফেলে যাওয়া মোটরসাইকেল সহ অস্ত্র উদ্ধার করে থানায় খবর দেয়।
ঘটনাটি ঘটেছে গত শনিবার (১ অক্টোবর) রাত আনুমানিক ২টার সময় সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের (নেংগী গ্রামের প্রবাসী নজরুল ইসলামের এবং মুজিবুর রহমানের বাড়িতে। খবর পেয়ে থানার সরকারি উপ পরিদর্শক ইব্রাহিম হোসেন রবিবার সকাল ৯ টার সময় ঘটনা স্থল হতে মোটরসাইকেল ও মোটরসাইকেলের ব্যাগে রক্ষিত১টি বড় ছোরা উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
রবিবার সরে জমিনে ঘটনাস্থলে গেলে ভুক্তভোগী গৃহকর্তা নজরুল ইসলাম এবং মুজিবর রহমান ও গ্রামের রনি, জামাল সহ একাধিক ব্যক্তি সাংবাদিকদের জানায় শনিবার রাত আনুমানিক ২টার দিকে ৬/৭জনের মুখোশ পরা সশস্ত্র একটি চোর চক্র প্রথমে নেংগী গ্রামের প্রবাসী নজরুলের পাচিল এর গেট ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে। পরে বাড়ির গিরিল কেটে চেতনা নাশক স্প্রে ছিটিয়ে পরিবারের সবাইকে অচেতন করে বাড়ির আলমারি ভেঙে নগদ ৩ লক্ষ টাকা ৪ জোড়া স্বর্ণের রুলি, ৪ জোড়াকানের দুল ৩ টি আংটি১টি হার সহ ১৫ ভরি স্বর্ণ দামি ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী এবং মূল্যবান কাপড় চোপড় নিয়ে যায়। এরপর রাত আনুমানিক ৩টার সময় পার্শ্ববর্তী মুজিবুর রহমানের বাড়ি অনুরূপভাবে প্রবেশ করলে টের পেয়ে তার ডাকা ডাকিতে গ্রামবাসী এসে ধাওয়া খেয়ে চোর চক্রের মিশন ব্যর্থ হয়ে পালিয়ে যায়। ওই সময় চোর চক্রের সদস্যরা স্থানীয় মাজেদ আলী মাস্টারের বাগানে ১টি লাল রংয়ের বাজাজ প্লাটিনা ১০০ সিসির মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে যায়। ওই সময় জনতা মোটরসাইকেলে রক্ষিত ১টি ব্যাগ হতে ১টি লম্বা ছোরা ৪টি কসটেপ উদ্ধার করে। ওই সময় স্থানীয় ইউপি সদস্য জোবেদ আলী ঘটনাস্থলে এসে থানায় খবর দিলে সকাল ৯ টার সময় থানার উপসহকারী পরিদর্শক ইব্রাহিম হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে মোটরসাইকেল এবং ছোরা উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। প্রতিনিয়ত এলাকায় চুরি, ডাকাতি লেগে থাকায় এলাকাবাসী আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের নিকট ক্ষোভ প্রকাশ করেন। একের পর এক এলাকায় চুরি-ডাকাতি সংঘটিত হলেও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্নে বলেন আমরা আতঙ্কের ভিতরে আছি। এ ব্যাপারে সহকারি পুলিশ সুপার কালিগঞ্জ সার্কেল আমিনুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন একটি বাড়িতে চুরি সংগঠিত হয়েছে অন্যটিতে চুরি করতে ব্যর্থ হয়েছে বিষয়টি নিয়ে এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি অভিযোগ পেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে তাছাড়াও আমাদের পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।