হাফিজুর রহমান,কালিগঞ্জ থেকেঃ
ম্যানেজিং কমিটির সদস্য হতে সিরাজুল ইসলাম নামে এক ইউপি সদস্য তথ্য গোপন করে তার একমাত্র পুত্র শাহরিয়ার নাফিজ কে স্কুল ও মাদ্রাসায় ভর্তি ও একই সাথে ২ প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত ছাত্র হিসেবে হাজিরা দেখানো হলেও দেখার কেউ নাই।
ঘটনাটি ঘটেছে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের দারুল উলুম চৌমুহনী ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসা ও লাকি কোমরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। তথ্য অনুসন্ধানের জন্য গতকাল মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) বেলা ১১ টার সময় লাকি কোমরপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় গেলে অত্র স্কুলের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান আমার স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য শ্রীরামপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলামের পুত্র শাহরিয়ার নাফিজ আমাদের বিদ্যালয় এর প্রথম শ্রেণীর একজন নিয়মিত ছাত্র এবং সেই নিয়মিত স্কুলে হাজির থাকে। তার রোল নাম্বার ২২। অপরদিকে বেলা ১২টার সময় দারুল উলুম চৌমুহনী ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসার ইফতেদায়ী বিভাগের প্রধান মোবারক হোসেনের নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান অত্র মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য সিরাজুল ইসলাম এর পুত্র শাহরিয়ার নাফিজ অত্র মাদ্রাসার তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র। যে কারণে সিরাজুল ইসলাম নির্বাচনে বিনা ভোটে অত্র মাদ্রাসায় পরিচালনা পর্ষদের সদস্য হয়েছে। তবে এ বিষয়ে অত্র মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্দুল কাদের হেলালির নিকট মুঠো ফোনে জানতে চাইলে তিনি রিসিভ করেননি। অত্র মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সদস্য আমজাদ হোসেন সাংবাদিকদের জানান ক্ষমতা যার পদ তার। তা না হলে সিরাজুল মেম্বারের পুত্র ৬ বছর বয়সে আমাদের মাদ্রাসার তৃতীয় শ্রেণীর একজন নিয়মিত ছাত্র। অন্যদিকে একই ব্যক্তি লাকি কোমরপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় এর প্রথম শ্রেণীর নিয়মিত ছাত্র। বিষয়টি ভেবে দেখলে উত্তরটা আপনারাই পেয়ে যাবেন। এটা কিভাবে সম্ভব সেটা পাল্টা প্রশ্ন রেখে সাংবাদিকদের নিকট জিজ্ঞাসা করেন। এ প্রসঙ্গে দুই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার নাফিজ এর বাবা ইউপি সদস্য সিরাজুল ইসলামের নিকট জানতে চাইলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে সাংবাদিকদের জানান ইসলামী শিক্ষার জন্য মাদ্রাসায় ভর্তি করা হয়েছে অন্যদিকে লাকি প্রাথমিক বিদ্যালয় এ ভর্তি করা হয়েছে। তবে সেটা আইনগতভাবে বৈধ কিনা সেটার কোন সদুত্তর মেলেনি। বিষয়টি আরো সত্যতা জানার জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদের নিক ট জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের জানান এটা কি করে সম্ভব সে বিষয়ে ইউপি সদস্যই ভালো জবাব দিতে পারবেন।এ বিষয়ে আমার বলার কিছু নাই। বিষয়টি এলাকাবাসী জেলা প্রশাসকের তদন্ত-পূর্বক আশু হস্তক্ষে কামনা করেছে।