সাজু বকুল, বগুড়া প্রতিনিধিঃ
বগুড়ার কাহালু উপজেলায় কালাই ইউনিয়নের তিনদিঘী কাছেমুল উলুম কওমী হাফেজিয়া ও নুরানী মাদ্রাসায় শিক্ষক কর্তৃক ছাত্র বলৎকারের ঘটনায় অভিযুক্ত লম্পট শিক্ষক রাকিবুল ইসলাম রকি (২৫) কে সাময়কি বরখাস্ত করেছে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ।
এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক জল্পনা ও কল্পনার চলচ্ছে, দেখা যাচ্ছে ঘটনার পর থেকে মাদ্রাসার আবাসিক কার্যক্রম ব্যবস্থা বন্ধ করে দিয়েছে বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী ও জনসাধারণ,
জানা যায়, নুরানী তা’লীমুল কোরআন বোর্ড বাংলাদেশ কর্তৃক পরিচালিত এর ব্যানারে কাহালুর তিনদিঘী বাজারে কাছেমুল উলুম কওমী হাফেজিয়া ও নুরানী মাদ্রাসার পরিচালিত হয়ে আসছিল। এ মাদ্রাসায় আবাসিক ও অনাবাসিক ছাত্ররা লেখাপড়া করেন। উক্ত মাদ্রাসায় দীর্ঘ দিন ধরে শিক্ষক কর্তৃক ছাত্রদের উপরে অমানবিক নির্যাতন ও অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগ করে আসছিল অভিভাবক ও এলাকাবাসী। এরই ধারাবাহিকতায় সর্বশেষ উপজেলার বড় ভাদাহার গ্রামের হাফিজার মন্ডলের পুত্র ও উক্ত মাদ্রাসার ছাত্র সাদিকুল মন্ডল (১১) কে বলৎকার করেন উক্ত মাদ্রাসার শিক্ষক রাকিবুল ইসলাম রকি। এ ঘটনা অভিভাবক ও এলাকাবাসীর মধ্যে জানাজানি হলে বিক্ষুদ্ধ অভিভাবক ও এলাকাবাসী মাদ্রাসার আবাসিক কার্যক্রম গত ২১/০৫/২০২২ইং তারিখ থেকে বন্ধ করে দেন। এ ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য এবং ঘটনাটি ভিন্ন খাতে নেওয়ার জন্য দফায় দফায় মিটিং করে ব্যর্থ হন মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। সর্বশেষ গত ৩১/০৫/২০২২ইং তারিখ রাতে কালাই ইউ পি সদস্য আব্দুল করিম, মাদ্রাসার সভাপতি/সেক্রেটারী এর উপস্থিতিতে এলাকার কিছু লোকজন ও মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ মিটিং করেন। মিটিং এ অভিযুক্ত শিক্ষক রাকিবুল ইসলাম রকিকে চড় থাপ্পড় মারা হয় এবং তাকে মাদ্রাসা থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। রাকিবুল ইসলাম রকি উপজেলার পিলকুঞ্জ গ্রামের নজরুল ইসলামের পুত্র।
তিনদিঘী কাছেমুল উলুম কওমী হাফেজিয়া ও নুরানী মাদ্রাসায় মুহতামিম (বড় হুজুর) মিজানুর রহমান এর সাথে কথা বলা হলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে মাদ্রাসার সভাপতি সেক্রেটারীর সাথে কথা বলতে বলেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক রাকিবুল ইসলাম রকির সাথে যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
উক্ত মাদ্রাসার সভাপতি আব্দুল ওহাব ও সেক্রেটারী সৈকত আলী খান এর সাথে কথা বলা হলে তারা জানান, এ বিষয়ে মিটিংয়ে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে এবং মাদ্রাসার আবাসিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
এ ব্যাপারে কালাই ইউ পি সদস্য আব্দুল করিম এর সাথে কথা বলা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন মিটিং এ উক্ত শিক্ষককে তার অভিভাবকেরা শাসন করেছে এবং মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ তাকে বরখাস্ত করেছে । আমি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি হিসাবে উপস্থিত ছিলাম মাত্র।
এ ঘটনায় এলাকার সচেতন মহল অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।