মোঃ শফিকুল ইসলাম, স্টাফ রিপোর্টারঃ
এক সপ্তাহ ধরে কুড়িগ্রামে মৃদু ও
মাঝারি শৈত্য প্রবাহ বয়ে
যাওয়ায় কনকনে ঠান্ডা ও তীব্র
শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে
পড়েছে।
স্বাভাবিক
জীবনযাত্রা যেমন ব্যাহত হয়েছে,
তেমনি ক্ষতি হয়েছে নানা
রকমের ফসলের। বিশেষ
করে ক্ষতি হচ্ছে বোরো ধানের
বীজতলা। এতে ব্যাহত হতে
পাড়ে বোরো চাষাবাদে।
পাশাপাশি রবিশস্যের মধ্যে
শাকসবজি, আলু, পেঁয়াজ,
রসুনের কোল্ড ইনজুরি ও পোকার
আক্রমণে ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।
এতে কুড়িগ্রামের উলিপুরের
কৃষকের কপালে চিন্তার ভাঁজ
পড়েছে। একটি পৌরসভা ও ১৩টি ইউনিয়নের মধ্যে ৮টি
ইউনিয়ন তিস্তা, ধরলা, দুধকুমার
ব্রহ্মপুত্র নদ-নদী দিয়ে
বেষ্টিত। এ মৌসুমে উপজেলার
বিভিন্ন চরা লসহ বিভিন্ন এলাকার
মাঠে রয়েছে রবিশস্য। সাধারণত
এসময় গম, আলু, পেঁয়াজ,
রসুন, কালোজিরা, ধনিয়াসহ
শীতকালীন বিভিন্ন ধরনের
শাকসবজি উৎপাদিত হয়।
এছাড়াও সরিষা, তিল, তিসি,
মুগ, মসুর, খেসারি, ছোলাসহ
নানা ধরনের ও
ডালবীজেরও উৎপাদন হয়ে
থাকে।উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য
মতে, উপজেলায় চলতি বছর
উপজেলায় এক হাজার ৩০
হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে।
৫৭০ হেক্টর জমিতে চাষ করা
হয়েছে পেঁয়াজ। সবজি চাষ করা
হয়েছে এক হাজার ৪০ হেক্টর
জমিতে। এছাড়াও এই মৌসুমে
বোরো ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা
নির্ধারণ হয়েছে ২২ হাজার ৫১০
হেক্টর জমি।
কৃষকরা এক হাজার ১৪৩ হেক্টর
জমি বীজতলা তৈরি করছে। এ
পর্যন্ত বোরো ধান রোপণ হয়েছে
দুই হাজার ৪৭৫ হেক্টর জমিতে।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন
এলাকা ঘুরে জানা গেছে, ঘন
কুয়াশা ও তীব্র শীতের কারণে
বোরো ধানের বীজতলা ব্যপক
হারে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বোরো
ধানের বীজতলার চারা বিবর্ণ
হয়ে হলুদ ও লালচে রং ধারণ
করছে। চারা রোপনের আগেই
শীত ও কুয়াশা বীজতলার জন্য
হুমকি হয়ে পড়েছে। এই অবস্থায়
চিন্তায় পড়েছে কৃষকরা। গত ১৮
জানুয়ারি থেকে জেলার তাপমাত্রা
১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে মৃদু
ও মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বইছে।
দাইয়ানুর রহমান (সম্পাদক) তাপস কুমার ঘোষ (প্রকাশক) শিমুল হোসেন, (নির্বাহী সম্পাদক) আজহারুল ইসলাম-বাবলু হোসেন ( নির্বাহী সম্পাদক)
অফিসঃ পশ্চিম শেওড়াপাড়া- ইকবল রোড বাসা নং- ৪১৬/৪ মিরপুর ঢাকা-১২১৬,
Email: Info@sumoyersonlap.com, taposhg588@gmail.com,shimul00252@gmail.com
01715522822, 01728.855627, 01710118632, 01709255325
https://www.sumoyersonlap.com
কপি করা নিষিদ্ধ ও দণ্ডনীয় অপরাধ।