মোঃ শফিকুল ইসলাম, স্টাফ রিপোর্টারঃ
কুড়িগ্রামে শীত ও ঘন কুয়াশার দাপটে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। সন্ধ্যা থেকে পরেরদিন সকাল পর্যন্ত বৃষ্টির মতো পড়ছে ঘন কুয়াশা। যার ফলে দুর্ভোগে পড়েছে এখানকার শ্রমজীবী ও ছিন্নমূল মানুষগুলো। এদিকে ঘনকুয়াশা উপেক্ষা করে দিনের বেলাতেও হেড লাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলতে দেখা গেছে। এদিকে ব্যাহত হচ্ছে নৌপথে চলাচল।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে কুড়িগ্রামের কৃষি আবহাওয়া অফিস জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে ১৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত দুই দিন থেকে উত্তরীয় হিমেল হাওয়ায় জবুথুবু হয়ে পড়েছে গোটা জনপদ। কনকনে ঠান্ডায় শীতবস্ত্রের অভাবে শীত কষ্টে পড়েছে নদ-নদী তীরবর্তী চর ও দ্বীপ চরের মানুষগুলো।
ঘরিয়ালডাংগা ইউনিয়নের চর খিতাব খাঁ ও বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের চর বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের মানুষগুলো চরম দুর্বিষহ জীবন যাপন করছেন।
পাড়ামৌলার জাহিদুল হক বলেন। এবারের শীতর পরিমান এতো বেশী যে সন্ধ্যা নামা মাত্র
একজন আর একজনকে চেনা যায় না। ঘন কুয়াশা আর ঠান্ডায়
টেকা দুশকর।
সদরের যাত্রাপুর নৌকাঘাটের মাঝি বেলাল হোসেন বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে গতকাল থেকে নৌকা চালানো মুশকিল হয়ে পড়েছে। পথ চেনা যাচ্ছে না, ১ ঘণ্টার পথ ৩ ঘণ্টা লাগছে। দিন ও রাতের অবস্থা এক। সড়ক পথে তো কুয়াশা হলেও গাড়ি চালানো যায়। নৌ পথে নৌকা চালানো যায় না। খুব সমস্যায় পড়ছি আমরা নৌকার মাঝিরা।
সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের খান পাড়া এলাকার তাজুল ইসলাম বলেন, রাত থেকে এতো পরিমাণে কুয়াশা পড়ছে যা গত ২-৩ বছরে পড়েনি। রাতে বৃষ্টির মতো কুয়াশা পড়ছে।
একই ইউনিয়নের পোড়ার চরের জহুরুল ইসলাম বলেন, দুইদিন থেকে খুব ঠান্ডা ও কুয়াশা। ছোট ছোট বাচ্চাদের নিয়ে খুব চিন্তায় আছি। আমাদের চরে তো সবসময় বাতাস থাকে তাই খুব ঠান্ডা। বাড়ি থেকে বাহির যাওয়া যাচ্ছে না। গতকালও সারাদিন কুয়াশায় ঢাকা ছিল আমাদের এলাকা। আজ কুয়াশা আরও বেশি।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, আজ সকালে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এখন থেকে তাপমাত্রা কমতে থাকবে। তবে আগামী ২০ তারিখের পরে এ অঞ্চলের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্য প্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
প্রতিবেদকঃ মোঃ শফিকুল ইসলাম