কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি:
কুষ্টিয়া খোকসাতে ভূমি অফিসে ছোট পদ সামান্য বেতনের পিয়ন মো: আকছেদ চাকুরি করলে ও আছে তার নামে বেনামে বিভিন্ন জায়গায় জমি ও দোকান ঘর। সরজমিনে যেয়ে জানা যায় তার চাকুরির মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে ও তিনি নিয়মিত অফিস করেন জানিপুর ভূমি অফিসে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্র জানায়, জানিপুর ভূমি অফিসে সামান্য পিয়নের চাকরী করেও আলাদীনের অদৃশ্য চেরাগের বদৌলতে বিপুল পরিমান অর্থ-বিত্তের মালিক বনে যায় এই ভূমি অফিসের সাবেক পিয়ন আকছেদ। খোকসার জানিপুরে রয়েছে কয়েক শতকের জমির উপরে বাড়ি, খোকসা উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে বিঘা বিঘা জমি, জানিপুর ইউনিয়নের একতারপুর বাজারে রয়েছে কয়েকটি দোকান ঘর ও নামে বেনামে বিপুল সম্পত্তির মালিক সে।
ভূমি অফিসে নামজারী ও খতিয়ান বানিজ্য, খাসজমি বন্দোবস্তি করে দেয়ার নামে টাকা আত্নসাৎ ও লাগামহীন অনিয়ম-দূর্ণীতির কারনে ইতিপূর্বে কয়েকবার শাস্তিমূলক বদলী হলেও বারবার ঘুরেফিরে জানিপুর নিজ বাড়ির পাশে ভূমি অফিসেই ফিরে এসেছে সে। তবে এটাও জানা যায় তার চাকুরির মেয়াদ বছর কয়েক আগে শেষ হলে ও জানিপুর ভূমি অফিসে যাওয়া আসা করেন নিয়মিত। তার নামে রয়েছে অগনিত অভিযোগ তারপরে ও প্রশাসন নিরব।৪র্থ শ্রেণীর সামান্য একজন পিয়নের কোটিপতি বনে যাওয়ার কারন অনুসন্ধান করতে গিয়ে বেরিয়ে এসেছে অবাধ দুর্নীতির চাঞ্চল্যকর ও পিলে চমকানো তথ্য ।
সূত্রে প্রকাশ, আকছেদ পিয়ন পদে সরকারীভাবে উক্ত অফিসে নিয়োগ পান তিনি। এর পর পরই শুরু হয় বৈধ-অবৈধ পন্থায় উর্পাজনের পালা। এলাকাবাসী জানান, পিয়ন পদে চাকরী পাওয়ার পরে জমি নামজারী করে দেয়া, খসড়া-সহিমুরি খতিয়ান তুলে দেয়া, জমা খারিজ ও জমা একত্রীকরন, খাজনা ও দাখিলার রশিদ করে দেয়া সহ জমি-জমা সংক্রান্ত বিভিন্ন কাজ করে দেয়ার কন্ট্রাক্ট নিয়ে শুরু করেন পাইকারী ধান্দাবাজি। ভূমি সংক্রান্ত নানা কাজের বাহানায় বিভিন্নজন থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।