উত্তম চক্রবর্তী,মনিরামপুরঃ
কৃষিবিদ সুশান্ত কুমার তরফদার পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেছেন। তিনি মনিরামপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হিসেবে ১৫ জানুয়ারী ২০১৫ থেকে ২৬ অক্টোবর ২০১৮ সাল পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে সুশান্ত কুমার তরফদার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়ি যশোরে জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার হিসাবে কর্মরত আছেন। গত ৯ সেপ্টেম্বর যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের অধীন এগ্রোপ্রোডাক্ট প্রসেসিং টেকনোলজী বিভাগ থেকে তিনি এই ডিগ্রী লাভ করেছেন। কৃষিবিদ সুশান্ত কুমার তরফদারের পিএইচডি গবেষণার বিষয় ছিল “ইফেক্টস অফ প্রি-এন্ড পোস্ট-হার্ভেস্ট ট্রিটমেন্টস অন ইল্ড, কোয়ালিটি এন্ড সেলফ-লাইফ অফ ব্রোকলি”। তাঁর গবেষণায় দেখা যায়, কৃষকেরা যদি মাটি পরীক্ষা করে সম্পূর্ণ রাসায়নিক সার এবং সাথে ভার্মিকম্পোস্ট (কেঁচোসার) প্রতি হেক্টরে ২ টন হারে প্রয়োগ করে তাহলে ব্রোকলীর সর্বোচ্চ ফলন হবে। ব্রোকলীর সেলফ-লাইফ খুবই স্বল্প। এ ক্ষেত্রে ব্রোকলীর সেলফ-লাইফ বৃদ্ধির জন্য ব্রোকলী সংগ্রহ করার পর সাথে সাথে পোস্ট-হার্ভেস্ট ট্রিটমেন্ট হিসেবে হাইডেনসিটি পলিইথিলিন ভ্যাকুয়াম প্যাক (এইচডিপি: ১৫ মাইক্রোন) ব্যবহার করার বিষয়ে পরামর্শ দেন। এ গবেষণায় সাধারণ তাপমাত্রায় কৃষক পর্যায়ে ব্রোকলী ১০-১২দিন পর্যন্ত গুণগতমান অক্ষুন্ন থেকে সবুজ থাকে এবং কোল্ড-স্টোরেজ অবস্থায় প্রায় ৩০দিন পর্যন্ত সতেজ থাকে। গবেষণায় পাওয়া ফলাফলে দেখা যায়, মাঠ পর্যায়ে এ প্রযুক্তি সম্প্রসারিত হলে কৃষকগণ খুবই উপকৃত হবেন ও ব্রোকলী, ফুলকপি, বাধাকপিসহ অনেক ধরনের সবজীর সেলফ-লাইফ বৃদ্ধি পাবে, সংগ্রহত্তোর অপচয় অনেকাংশে কমে আসবে এবং কৃষকগণ আর্থিক ভাবে লাভবান হবেন। তাঁর গবেষণা আর্টিকেল ইতোমধ্যে সুজারল্যান্ড, ইংল্যান্ড, ইরান এবং সার্কভূক্ত দেশ সমূহে প্রকাশিত হয়েছে। কৃষিবিদ সুশান্ত কুমার তরফদারের গবেষণার তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন এগ্রোপ্রোডাক্ট প্রসেসিং টেকনোলজী বিভাগের চেয়ারম্যান ও অধ্যাপক ড. মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস। পিএইচডি ডিগ্রী অর্জনে তিনি সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।