রফিকুল ইসমাল ভুলুর উক্তি কুয়েতে বাঙালীর বৈশাখী মেলা নিয়ে তার ফেসবুকে পাওয়া তথ্য অনুলিপি ও আমাদের প্রতিনিধির প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলে বিস্তারিত আমার ফেসবুকে স্ট্যাটাস এর মাধ্যমে জানিয়েছি ও আপনাদের বিস্তারিত বলছি।
স্ট্যাটাস হুবুহু তুলে ধরা হলোঃ-
প্রিয় কুয়েত প্রবাসী ভাইয়েরা,
সালাম নিবেন। সময় কম সকলকে ডেকে মিটিং করাও সম্ভব নয়, তাই ডিজিটাল যুগে ফেইজবুককেই বেছে নিলাম সহসায় জানানোর জন্য। প্রবাসে একমাত্র সরকারী অনুদানে দূতাবাস কর্তৃক আয়োজিত অনুষ্ঠান ছাড়া বাকী কাউকে সরকারী অনুদান দেয়ার সুযোগ নেই।
প্রবাসে বিভিন্ন সংগঠন গুলো বৈশাখী মেলাসহ সাংস্কৃতিক, সাহিত্যিক ও চিত্রাঙ্কন এবং অন্যান্য খেলাধুলা নিজেদের উদ্দ্যোগেই করে থাকেন, বিভিন্ন ব্যবসায়িক ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান এবং কর্মীদের থেকে সংগ্রহ করে। এব্যাপারে নিজেদের মধ্যে ভুল বুঝাবুঝির কোনো অবকাশ নেই।
বিগত বৈশাখী মেলার ব্যাপারে আপনাদের যদি কিছু বলার থাকে, দয়া করে দূতালয় প্রধানের নিকট থেকে জেনে নিবেন। কেনোনা উনি বৈশাখী মেলা ২০২২ কমিটির আহবায়ক ছিলেন। যেহেতু সেখানে বিদেশী দূতাবাসের মেহমানদের দাওয়াত করা হয়েছিলো। আর মেলায় যে খরচ হয়েছিল সেটা কুয়েতস্থ আওয়ামী পরিবারের তরফ থেকে জোগান দেওয়া হয়েছিলো। বাহিরের কোনো প্রতিষ্ঠান কিংবা ব্যবসায়ী এমনকি দূতাবাসের তরফ থেকেও কোনো অর্থ নেওয়া হয়নি।
২/১দিনের মধ্যেই আমি তা` তুলে ধরবো, কে কতো দিয়েছিলো এবং কোন কোন খাতে কতো টাকা খরচ হয়েছিলো। সেটা আমার দায়িত্বে ছিলোনা। যদিও আমি সদস্য সচিব হিসেবে মেলার দায়িত্ব পালন করেছিলাম কিন্তু আহবায়ক ছিলেন দূতালয় প্রধান এবং হোসেন আহম্মেদ আজিজ সাহেবের মাধ্যমে উনি কাজ গুলো করিয়েছেন। বিগত বৈশাখী মেলাটা সফল ভাবে সমপন্ন করাটা খুবই কষ্ট সাধ্যছিলো কিন্তু আপনাদের সহযোগিতায় খুব সুন্দর ভাবেই সমপন্ন হয়েছে। যে বা যাহারা মেলায় সহযোগিতা করেছেন, সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
এরপরে যারা সহযোগিতা করেছিলেন, তারা বিনিময়ে কিছু চাননি, শুধু দাবী ছিলো বৈশাখী মেলায় কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ দূতাবাস কর্তৃক একটি প্রশংসা পত্র। যেটার দায়িত্বে ছিলেন যথাক্রমে ফয়েজ কামাল ও হোসেন আহম্মেদ আজিজ সাহেব। আমাকে বলা হয়েছিলো সকলের নামের লিস্টা পৌছে দেয়ার জন্য। আমি আহবায়ক সহ উনাদের দু`জনের নিকট লিস্ট পৌছে দেই।
বিশেষ করে শোভা যাত্রায় যারা ঢোল, বাঁশি এবং অন্যান্য বাদ্যযন্ত্র বাঁজিছেন এবং শিল্পীদের সহযোগিতা করেছেন, তাদেরকে খুশীর ছলে কিছু অর্থ দেয়ার কথা ছিলো কিছু কিনে খাওয়ার জন্য। সেই টাকাটা এখনও উনাদের হাতে পৌছেনি। কারণ আজিজ সাহেবকে আমি বারণ করা সত্ত্বেও নিজে অতি উৎসাহি হয়ে অতিরিক্ত কিছু অর্থ ব্যয় করেন। যেটা কমিটি বা দূতাবাসকে না জানিয়েই করা হয়েছিল। এটার সমাধান একমাত্র আহবায়ক ছাড়া অন্য কারো পক্ষে দেয়া সম্ভব নয়।
সেজন্য পার্কে ফেরত যুগ্য জমাকৃত ১৭৫ দিনার উনারা আটকিয়ে রাখেন। ঐ টাকা থেকে দেয়ার কথা ছিলো ১০০ দিনার সাউন্ড সিস্টেমের পাওনা বাবদ গিয়াস উদ্দীনকে এবং ৭৫ দিনার বাদযন্ত্র ও শিল্পীদেরকে।
এব্যাপারে বাবুল দাস সব কিছু জানেন। বাবুল দাসকে নিয়েই সেদিন পার্কের টাকাটা জমা করেছিলাম এবং বাবুল দাস ঐ পার্কেই কর্মরত আছেন বিধায়। পার্ক কর্তৃপক্ষ চেকটা দূতাবাসের নামে ইসু করার পরিপেক্ষিতে অন্যকারো পক্ষে টাকাটা তুলে দেয়া সম্ভব হয়নি। আমি বারবার তাগাদা দেয়া সত্ত্বেও কেউ কোনো সমাধান দেননি।
এখন করণীয় কি এটা আপনাদের উপর। আমি হয়তো এক সপ্তাহের মধ্যে দেশে চলো যাবো। দীর্ঘ কুয়েতে আপনাদের সংগে চলার ক্ষেত্রে যদি কোনো ভুল করে থাকি, সবাই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
শুধু একটাই আফসোস ধর্মের বয়ান করি, সত্যের কথা বলি কিন্তু বাস্তবে আল্লাহকে কে কতটুকু মানি বা স্বীকার করি সেটাই প্রশ্ন থেকে যায়। মৃত্যু সকলের জন্য অবধারিত এবং নির্ধারিত আল্লাহ সবাইকে হেদায়েত করুন (আমীন)
সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন,এই কামনাই করি
ধন্যবাদান্তে — বিদায়ী বন্ধু, রফিকুল ইসলাম ভুলু