ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুর রশিদের দুর্নীতি,স্বেচ্ছাচারিতাও আত্মীয় করনের প্রতিবাদ ও অপসারণ চেয়ে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সুশীল সমাজ ও এলাকাবাসীর ব্যানারে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভিতরে এ মানববন্ধন করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, কোটচাঁদপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রিপন মন্ডল,উপজেলার সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শেখ শাহিন, মসজিদের মুসল্লি ঠান্ডু রহমান, শফিক উদ্দিন,আব্দুর রশিদ। এ সময় মানববন্ধনে অংশ গ্রহন করেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর স্বজনরা সহ একাত্বতা ঘোষনা করেন সমাজের বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ।
সকাল ১০ টার সময় স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভিতর এ মানববন্ধন করা হয়। ঘন্টাব্যাপী চলে এ মানববন্ধন। মানববন্ধনে উপস্থিত বক্তারা বলেন,এ কর্মকর্তা এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগদানের পর একের পর অনিয়ম ও দুর্নীতি করে চলেছেন। বিষয়টি প্রায় পত্রিকা ও অনলাইন পোটালে সংবাদ ও প্রকাশিত হয়েছে। এরপরও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা তাঁর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় তিনি বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন।
এ কারনে তিনি আইন বহিরভুত ভাবে একের পর এক স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিভিন্ন জিনিস পত্র বিক্রি করে আসছেন।
তারা বলেন,সম্প্রতি তিনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অনেক দিনের জমে থাকা ভাংড়ি বিক্রি করেছেন। এরপর বিক্রি করেছেন গ্যারেজ ও ড্রাইভারের থাকার কোয়াটার। এবার বিক্রি করেছেন মসজিদের পুরাতন ভবন ও তার সরঞ্জামাদি। আর এ কারনে আজ এ মানববন্ধনে আমাদের দাড়ানো। আমরা ওই কর্মকর্তার সকল দুর্নীতি ও অনিয়মের প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সাথে সাথে ওই কর্মকর্তার অপসারনের দাবি করছি ।
এ ব্যাপারে গনমাধ্যম কর্মী কামাল হাওলাদার বলেন, এ কর্মকর্তার দুর্নীতির কারনে এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। মানুষ স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সিভিল সার্জন নাকি তার ব্যাচমেট। যার কারণে তিনি বেশি বেপরোয়া।
তিনি বলেন,এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কিছু ডাক্তার রোগীদের সঙ্গে প্রতিনিয়ত খারাপ আচারন করেন। রোগীদের কোন দিন গায়ে হাত দিয়েও দেখেন না। বিষয়টি কর্মকর্তার নিকট বললেও কোন ব্যবস্থা না নিয়ে বরং তিনার আশ্রয়,প্রশ্রয়ে আরো বেপরোয়া তারা।
জাসদ নেতা শামীম আক্তার বাবু বলেন,এ মসজিদ আমাদের সম্পতি। এখানে যারা চাকুরী করতে আসেন,ওনারা যেন নিজেদের সম্পত্তি মনে না করেন।তিনি বলেন,তিনি নিজের ইচ্ছে মত মসজিদের মালামাল সহ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরো জিনিসপত্র বিভিন্ন সময়ে আইন বহিভুত ভাবে বিক্রি করে আসছেন। আমরা এ মানববন্ধন থেকে এ দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুর রশিদের অপাসারন দাবি করছি। সাথে সাথে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি,জেলা সিভিল সার্জন ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর নিকট।
বিষয়টি নিয়ে কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুর রশিদ বলেন, এটার কোন ভিত্তি নাই। এটা আমার বিরুদ্ধে নিছক অপবাদ। আগে ওই সবের কোন কিছু বিক্রি করা হয়নি। ওইটা ছিল প্রস্তাবিত মূল্য। আগামীকাল জহরবাদ ওপেন নিলাম ডাক দেয়া হবে।
তবে তিনি গতকাল গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন,যা করা হয়েছে মসজিদ কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী করা হয়েছে। ন্যায্য মূল্যে বিক্রি করা হয়েছে মসজিদের সামগ্রী।
এদিকে ওই কর্মকর্তার দুই ধরনের বক্তব্যে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তারা বলছেন,কোনটা সত্য আর কোনটা মিথ্যা। অথচ তিনি সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য গতকাল থেকে বিভিন্ন মাধ্যম দিয়ে সংবাদ কর্মীদের ম্যানেজ করার চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়েছে।