এম, টি, রহমান মাহমুদ, গোপালগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
গোপালগঞ্জ কোটালীপাড়ায় ভালো চিকিৎসার প্রাণকেন্দ্র হয়ে উঠেছে কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বচনী এলাকায় এখানে নিয়মিত ডাক্তারের সেবা মানিষ পেতনা। গোপালগঞ্জ জেলা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল এর চিএ ও অনেক খারাপ। রেগীরা তেমন সেবা পায় না! জেলার সরকারি সকল হাসপাতালে ডাক্তার প্রাইভেট ক্লিনিক নিয়ে বেশি ব্যাস্ত থাকেন ভোর থেকেই ডাক্তাররা হাসপাতালে সময় মত না বসে ক্লিনিকের কল পেলেই নার্স, আয়াকে বলে বের হয়ে যান। দেখার কেউ নেই। ভুক্তভোগীরা জানান এদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যাবস্থা গ্রহন করলে মানুষ সেবা পেত। রোগীরা সকাল থেকে হাসপাতালে অবস্থান করেন ডাক্তার আসেন ১১.৩০ বা ১২ টার দিকে তারপর তরিঘরি করে নামে মাএ রোগীর সেবা দেন মন গড়া মত। এই হলো আসল চিএ! কোটালীপাড়ায় ডাক্তার নন্দা সেনের আপ্রাণ প্রচেষ্টায় হাসপাতালের বেহাল দশা,থেকে নতুন রূপে অবকাঠামোর পরিবর্তন শুরু করেছে চিকিৎসা ব্যবস্থা, পরীক্ষা নিরীক্ষার ব্যবস্থা, দীর্ঘ দিনের বন্ধ থাকা থেকে মানুষ সুফল পেতে যাচ্ছে। স্থগিত থাকা সিজার ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। নরমাল ডেলিভারি রোগীর সংখ্যা অনেক গুনে বেড়েছে এতে করে মায়েরা খুশি। এক্স-রে মেশিন চালু করে নিয়মিত এক্সরে করা হচ্ছে। এছাড়া রোগী নিয়ে ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিকের বিরক্তিকর পরিবেশ থেকে রক্ষা পাচ্ছে। মাদক সেবীদের অনুপ্রবেশ বন্ধ করা হয়েছে। কোটালীপাড় হাসপাতালে কর্মরত কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের নিয়মিত অফিসে আসতে হচ্ছে ও সেবা প্রদান করতে হচ্ছে। বন্ধ থাকা আল্ট্রাসোনো চালু করে ২০২৩ ইং সালে রাজস্ব খাতে ৯ লক্ষ ২৯ হাজার ১ শত ২০ টাকা জমা হয়েছে। কোটালীপাড়া উপজেলা হাসপাতাল থেকে ২০২৩ ইং সালে সরকারি রাজস্ব খাতে ২৯ লক্ষ ৬০ হাজার ১ শত ৯০ টাকা জমা করেছেন। যাহা আগে কখনো এভাবে জমা হয়নি। অনিয়মের হাত থেকে হাসপাতালের রক্ষা ও নিরাপত্তার জন্য সিসি ক্যামেরা দ্বারা পর্যবেক্ষণ করা হয়। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দৃশ্যপট পাল্টে দিয়েছেন বর্তমান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার নন্দা সেন। তিনি কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০২৩ ইং সালের ২৮
ফেব্রুয়ারি যোগদান করেন। তখন কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ৫০ শয্যা বিশিষ্ট ছিল। বর্তমানে ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হয়েছে। কিন্তু সে তুলনায় জনবলের সংখ্যা না বাড়ার কারণে স্বল্প জনবল দিয়ে হাসপাতালকে চালাতে সার্বক্ষণিক কর্মব্যস্ত সময় পার করেন এই কর্মকর্তা।
ডায়রিয়ার শিশু রোগীর মা আরতী(৩৫) বলেন আজ দুদিন হাসপাতালে এসেছি, এখন আমার বাচ্চা অনেকটা সুস্থ। আগে দুর্গন্ধে হাসপাতালে থাকা যেত না বর্তমানে দুর্গন্ধ মুক্ত হয়েছে।
বিথি বারই (২৮)বলেন আমার বাচ্চা ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত। এতো ভালো চিকিৎসা পাব আশা করিনি।
দেখাতে আসা রোগী ফেরদৌস শেখ( ২৫) বলেন আমি পশ্চিম পাড় থেকে অটো ভ্যান চালিয়ে আসার সময়, তেল পাম্প এর কাছে মাহেন্দ্র গাড়ির সাথে এক্সিডেন্ট হয়। চিকিৎসার জন্য কোটালীপাড়া উপজেলা হাসপাতালে গেলে অনেক ভালোভাবে আমার চিকিৎসা করেছেন। আগে কখনো এভাবে চিকিৎসা করতে দেখিনি।
রোগী মোহাম্মদ রাজা আলী বলেন (৬০) আমি হার্টের রোগী। আজ ৩ দিন হয়েছে হাসপাতালে এসেছি। এখন অনেকটা সুস্থ। চিকিৎসার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন আগের চেয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা মান অনেক বেড়েছে।
হাসপাতাল থেকে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ২০২৩ সালে ৫০ শয্যার কোটালিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স টি ১০০ শয্যায় উন্নতি করা হলেও ১০০ শয্যার যে জনবল থাকা দরকার তার তুলনায় অনেক কম ।২০২১ সালে অন্তঃ বিভাগে রোগীর সংখ্যা ছিল ৭ হাজার ৪৯১ জন। জরুরী বিভাগে ৯ হাজার ৪ শত ৪ জন রোগী। আউটডোর ৯১ হাজার ৬ শত ৭৩ জন।
২০২৩ ইং সালে অন্তঃ বিভাগে ১১ হাজার ১ শত ৫৭ জন রোগী। জরুরী বিভাগে ২০ হাজার ৪ শত ৯৭ জন রোগী।
আউটডোর ১ লক্ষ ১৮ হাজার ৪ শত ১৫ জন রোগী চিকিৎসা সেবা পেয়েছে। চিকিৎসা সেবা দেওয়ার জন্য সর্বপ্রকার কাজ করে যাচ্ছে।
হাসপাতালে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার নন্দা সেন। হাসপাতালটি পরিষ্কার রাখতে হিমসিম খেতে হয়, রোগীরা যেখানে সেখানে পানের পিক ফেলায়। বাথরুমে এমন ব্যবস্থা করে, বারবার পরিষ্কার করতে লোক আনতে হচ্ছে। তাছাড়াl দালাল চক্র ও সুবিধাবাদী পিপাসুরা আমার কাজের ব্যাঘাত ঘটানোর জন্য বিভিন্ন ভাবে অপপ্রচার চালাচ্ছে।আমি কোন অপপ্রচারের পরোয়া করি না। পিতা মুজিবের জন্মভূমি এই গোপালগঞ্জ জেলা ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী এলাকা। আমি মানুষের সেবা দিয়ে পিতা মুজিবের আত্মার শান্তি কামনা করছি। পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ। কারণ আমি ২০২৩ ইং সালের ২৮ ফেব্রুয়ারিতে কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগদান করি। আমার যোগদানের পর অতীতের হাসপাতা আর বর্তমান হাসপাতালের অবকাঠামো কতটা পরিবর্তন হয়েছে অফিসিয়াল কাগজপত্রে তার প্রমাণ রয়েছে। কে কি বলল তা নিয়ে আমার ভাবার সময় নেই। সঠিকভাবে কাজ করেই যাব মানুষের ভালবাসা নিয়ে।হাসপাতালের উন্নতি ও সেবা প্রদান করাই আমার উদ্দেশ্য। আমি চাই ছুটির দিন ছাড়া সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নের জন্য বহির্বিভাগ সব সময় খোলা থাকবে। ক্লিনিক ও ডায়াগোনেস্টিক এর বিরুদ্ধে জেলা সিভিল সার্জন অফিস থেকে এদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যাবস্থা গ্রহন করবে বলে জানান।