প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী কোনো প্রার্থীর প্রচারণায় বাধা সৃষ্টি করা যাবে না। সবাই তাদের নিজেদের মতো প্রচার-প্রচারণা করুক। জনগণ তাদের পছন্দের প্রার্থীকে বেছে নেবে, পছন্দের প্রার্থীকে ভোট প্রদান করবে।
বৃহস্পতিবার বিকালে পাঁচ জেলার আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ ও প্রার্থীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে বক্তব্য প্রদানকালে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ এ দেশের মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে এনেছে, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করেছে। প্রত্যেক নাগরিকের তার পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার অধিকারের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা জনগণের ক্ষমতায় বিশ্বাস করি। জনগণ যাকে ইচ্ছা তাকে ভোট দেবে।
নির্বাচনের প্রচারণায় বাধা না দেওয়ার প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রত্যেক প্রার্থী তাদের নিজেদের মতো প্রচার-প্রচারণা করুক, প্রচারণায় বাধা সৃষ্টি করা হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভোটের মাধ্যমে জনগণ তার পছন্দের প্রার্থীকে বেছে নেবেন।
গত ১৫ বছরে উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আবার নৌকায় ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, দেশের এমন কোন জায়গা নেই, যেখানে গত ১৫ বছরে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত রাখতে তিনি আবারও নৌকায় ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকা থেকে পাবনা, নাটোর, পঞ্চগড়, লালমনিরহাট ও খাগড়াছড়ি এই পাঁচটি জেলার নেতাকর্মী, আসন্ন নির্বাচনে দলের মনোনীত প্রার্থীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মতবিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী।
পাঁচ জেলার আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ ও নৌকার প্রার্থীরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে নিজেদের এলাকার বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন এবং উন্নয়নেরে ধারা অব্যাহত রাখতে বিভিন্ন দাবি জানান।
বিএনপি নির্বাচনে না আসায় সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। একটি অগণতান্ত্রিক পন্থায় বিএনপির জন্ম। তারা অবৈধভাবে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে।
রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বিএনপি এখন সন্ত্রাসী সংগঠনে পরিণত হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।