আহসান উল্লাহ বাবলু, সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধিঃ
আশাশুনির খাজরা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের খাজরা গ্রামের মস্তিষ্ক বিকৃত মোঃ রজব আলী (৪৫) আবারও হাটতে চায়। ডান হাতে কবজি ও বাম হাতের দুটি আঙুল এবং বাম পায়ের পাতা বিছিন্ন রজব আলী উন্নত চিকিৎসা পেয়ে আবারও সুস্থ্য হয়ে উঠুক,আবারও খাজরার বিভিন্ন জনপদে ঘুরে ঘুরে চলুক এমনটাই দাবী করেছেন তার পরিবার। মোঃ রজব আলী খাজরা গ্রামের মুক্তার গাজীর বড় পুত্র।
মঙ্গলবার(৭ জুন) সকালে খাজরা গ্রামে রজব আলী বাড়িতে গিয়ে ও পরিবারের লোকজনের কাছ থেকে জানা যায়,ছোট বেলা থেকেই রজব আলী ছিল অত্যান্ত মেধাবী শিক্ষার্থী। সে দাখিল,আলিম,কামিল পর্যন্ত সব চেয়ে ভাল রেজাল্ট পেয়ে পাস করেছিল। পিতা মাতার স্বপ্ন ছিল সে ভাল একটা চাকুরী পাবে। কিন্তু বিধি বাম। কামিল পাস করে বিভিন্ন চাকরির এন্টারভিউ দেওয়াকালীন তার মস্তিষ্ক বিৃকত হয়ে যায়। বিভিন্ন রকম চিকিৎসা করার পরও আর ভালো হয়নি। বছর দুই আগে সে হঠাৎ নিখোজ হয়। বিভিন্ন জায়গায় খোজাখুজির এক পর্যায়ে গেল ইদুল ফেতরের পাঁচ দিন আগে জানা যায় সে কুষ্টিয়ায় একটি হাসপাতালে সেনাবাহিনীর তত্ত¡ধানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে। লোকমুখে জানা যায়,সে ট্রেন দুর্ঘনায় একটি হাতের কবজি,দুটো আঙুল ও পায়ের পাতা হারিয়েছেন। বর্তমানে সে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চতুর্থ তলায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে। বর্তমানে তার চিকিৎসা খরচ অনেক ব্যয় বহুল বলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
রজব আলীর পিতা মুক্তার গাজী জানান,আমার ছেলে যদিও পাগল ছিল তাও তো সে হাটা চলাফেরা করতে পারত। এখনতো তাও প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। তাকে উন্নত চিকিৎসা করাতে পারলে নকল পা লাগিয়ে সে আপাতত হাটা চলাফেরা করতে পারত। তার উন্নত চিকিৎসার যে খরচ তা আমার একার পক্ষে সম্ভব না। তাই আমি সমাজের সর্বস্তরের মানুষের কাছে আমার সন্তানের চিকিৎসার জন্য আর্থিক সাহায্য চাচ্ছি। সাহায্য পাঠানোর বিকাশ নং-০১৯৩৩-৫৬৫০০২(পিতা)
সমাজের বিত্তবানরা এগিয়ে আসলে রজব আলী আবারও সুস্থ্য হয়ে সকলের কাছে ফিরে আসবে এমনটাই তার পরিবার ও গ্রামবাসী জানিয়েছেন। তারা সরকারি বে-সরকারি,সামাজিক,রাজনৈতিক সংগঠন গুলোর সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।