সজল রায় কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধিঃ
কুষ্টিয়া জেলার খোকসায় বৃহস্পতিবার দুপুরে খোকসা থানাধীন পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডে কালিবাড়ী এলাকায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বসত বাড়ী ভাংচুর সহ মারপিটের ঘটনা ঘটেছে। হামলায় চার জন গুরুতর আহত হয়ে খোকসা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নেই। আহত ব্যাক্তিরা হলেন ওমর কুমার ঘোষ (৫০), অজিদ বিশ্বাস (৪০), মিতা বিশ্বাস (৩০), আরতি রাহাত (৫৫)।
অভিযোগ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (৪ মে) দুপুর আনুমানিক ১২.২০ ঘটিকার সময় শুখময় রাহাত (১১) ও মুন হলদার (১০) পাশেই গড়াই নদীতে গোসল করতে যায়। এ সময় শুখময় সাঁতার কাটতে গেলে মুন হলদারের গায়ে পা লাগে। মুন হলদার গিয়ে তার বাবাকে জলে চুবিয়ে ধরেছে বলে অভিযোগ জানায়। মুন হলদারের পিতা কমল হলদার তার মেয়ের কথা শুনে শুখময় রাহাতকে জলের মধ্যে কিছুক্ষণ ঘাড় ধরে চুবিয়ে রাখে এতে শুখময় রাহাত কিছুটা অসুস্থ হয়ে পড়েন। বিষয়টি প্রমিতা নন্দি (২১) দেখতে পেয়ে শুখময় রাহাতের দাদু ওমর কুমার ঘোষকে জানান। খবর পেয়ে দাদু ওমর কুমার ঘোষ ও ঠাকুমা আরতি রাহাত গিয়ে কমলের কাছে বিষয়টি জানতে চায়। এ বিষয়ে কমলের সাথে কথা কাটাকাটি হলে কমল তার পরিবারের লোকজনকে চিৎকার চেচামেচি করে ডেকে এনে তাদের উপর হামলা করে। পরে কমল তার পরিবারের লোকজন নিয়ে অজিদের বাড়ীতে হামলা করে ঘর বাড়ী ভাংচুর করে। হামলায় ওমর কুমার ঘোষ (৫০), অজিদ বিশ্বাস (৪০), মিতা বিশ্বাস (৩০), আরতি রাহাত (৫৫)। গুরুতর আহত হয়।
এ ব্যাপারে খোকসা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। কমল হলদারের স্ত্রী বন্যা হলদার (৩২), বলেন, নদীতে চান করার সময় শুখময় রাহাত আমার মেয়ের সম্মুখে অশ্লীল কথা বললে আমার মেয়ে নিষেধ করে ।পরে শুখময় রাহাত আমার মেয়েকে জলে চুবিয়ে ধরে। তিনি আরো বলেন বাচ্চাদের বিষয় নিয়ে মারামারি করাটা ঠিক হয়নি।
পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল কাশেম তরুণ এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মারামারি ঘটনার বিষয়টি আমি শুনেছি। উভয় পক্ষকে সংযত থাকতে বলেছি।
এই ঘটনার বিষয়ে খোকসা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তফা হাবিবুল্লাহ বলেন লিখিত অভিযোগ পেয়েছি সুস্থ তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।