মো রাসেল সরকার, গজারিয়া প্রতিনিধিঃ
মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলা ২৭ মে সোমবার সকাল থেকে ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের হাজার হাজার গ্রাহকের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। দমকা হাওয়ার কারণে কাঁচা ঘরবাড়ির বেড়া, টিনের ছাউনি এবং গাছপালা উপড়ে পড়ে অনেক মানুষের বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে
গজারিয়া উপজেলায় প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমাল এর তাণ্ডবে ঝড়,ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে লন্ডভন্ড।
রেমালের প্রভাবে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রাখার ফলে উপজেলার সব এলাকায় ৩২ থেকে ৩৬ ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন অবস্থায় রয়েছে। এতে করে মোবাইল যোগাযোগ ও ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। রেমালের ২৪ ঘণ্টার অবিরাম দমকা হাওয়া ও ঝড়বৃষ্টির কারণে উপজেলার গ্রামীণ জনপদের কৃষকরা গরু, মহিষ, ছাগল,হাঁস-মুরগি সহ গৃহপালিত প্রাণীর খাদ্য সংগ্রহ করতে হিমশিম খাচ্ছেন।
উপজেলার পূর্ব গজারিয়া ইউনিয়ন ইউনিয়ন ইসমানির চর বড় কালীপুড়া গ্রামের অলি মিয়া,
নকরুদ্দিন স্বপন মিয়া, ইব্রাহিম মিয়া, বজলু সরকার,রুপু সরকার, শরবত আলী হোসেন মিয়া,
মালেক ব্যাপারী, নেশান বেপারী, আলী আহমদ সরকার, মোহাম্মদ আজারুল মিয়া, ঘর সহ বিভিন্ন এলাকায় গাছপালা পড়ে বিধ্বস্ত হয়েছে প্রায় অর্ধশতাধিক মানুষের নদী ভাঙ্গনে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ।গাছপালা পড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন সহ যাতায়াতের পথ বন্ধ হয়ে গেছে অনেক এলাকার।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপজেলার ইউনিয়ন,
সহ বিভিন্ন গ্রামে ঘরবাড়ি এবং ফসল ও বনজ গাছপালা ভেঙ্গে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে হাওর, নদী ও খাল-বিল পানিতে ভরে গিয়ে ভয়ঙ্কর বন্যার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।