মো রাসেল সরকার গজারিয়া প্রতিনিধিঃ
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় পানিতে ডুবে দিন দিন মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে আজ শনিবার নদীর পানিতে ডুবে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু ডুবুরিদল না থাকায় এ ঘটনায় তাৎক্ষনিক সহায়তা পাওয়া যায়নি ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের।
আজ দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার হোসেন্দী এলাকার কাজলী নদীতে গোসল করতে গেলে আনিসা আক্তার (৯) নামের এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়। মৃত স্থানীয় নতুনচর এলাকার আমির হোসেন মোল্লার মেয়ে। সে হোসেন্দী দাখিল মাদ্রাসার তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা জানান, বেলা ১২টার দিকে বাড়ির পাশ দিয়ে প্রবাহীত মেঘনার শাখা কাজলী নদীতে গোসল করতে নামে আনিসা। গোসলের এক পর্যায়ে আনিসা কিছুটা নদীর গভীরে চলে যায়। তখন স্রোতের তোড়ে পানিতে তলিয়ে যায় সে। পরে স্থানীয়রা তাকে খোঁজাখুজি করতে থাকে।
ডুবে যাওয়ার প্রায় এক ঘন্টা পর আনিসাকে পানিতে ভাসতে দেখা যায়। ঘটনার সময় জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল দিলে গজারিয়া উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি না থাকায় সংস্থার পক্ষ থেকে সহায়তা পাওয়া যায়নি। এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ দেখা যায় ।
কিছু দিন আগে উপজেলার বালুয়াকান্দী ইউনিয়নের তেতৈতলা গ্রামের মো. কামাল উদ্দিনের কলেজ পড়ুয়া ছেলে ইমন হোসেন মেঘনা নদীতে ডুবে মারা যায়। তখনও ডুবুরি দল না থাকার অজুহাতে ঘটনাস্থলেই যায় নাই ফায়ার কর্মীরা।
এ বিষয়ে গজারিয়া ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন কর্মকর্তা মো. রিফাত মল্লিক বলেন, আমাদের উপজেলা নয়, জেলা পর্যায়েও ডুবুরি দল নেই, এই জাতীয় পরিস্থিতিতে আমরা বিভাগীয় স্টেশনে যোগাযোগ করি।
গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ফারহানা সুলতানা বলেন, মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে আমাদের হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে আমরা প্রাথমিক পর্যেবক্ষণ করে তাকে মৃত ঘোষণা করি। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে পানিতে ডুবে তার মৃত্যু হয়েছে।
বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোল্লা সোহেব আলী বলেন, নিহতের লাশ তার স্বজনদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে গজারিয়া থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হবে।