মো রাসেল সরকার, গজারিয়া প্রতিনিধিঃ
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় মায়ের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ছয় দিন পর আবদুল রাজ্জাক (৪৫) নামে এক অটোরিকশা চালকের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়নের হোসেন্দী গ্রাম সংলগ্ন কাটাখালী যৌথ কবরস্থান থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি শামীম মিঞার নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল দল তার লাশ উত্তোলন করে মর্গে পাঠায়। এ সময় গজারিয়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মহিদুল ইসলাম, গজারিয়া থানার সেকন্ডে অফিসার এস আই আবুল কালাম সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে গজারিয়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মহিদুল ইসলাম জানান, কবর থেকে উত্তোলনের পর সকল প্রক্রিয়া শেষে ময়না তদন্তের জন্য লাশটি মুন্সীগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এর আগে মুন্সীগঞ্জের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক নাজমিন আক্তার লাশ উত্তোলন করে ময়না তদন্তের নির্দেশ দেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শামীম মিঞা জানান, নিহত ব্যক্তির মা রেজিয়া বেগম বাদী হয়ে গজারিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। আবদুল রাজ্জাককে হত্যা করা হয়েছে এমন সন্দেহে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক নিহতের মৃতদেহ কবর থেকে উত্তোলন ও ময়না তদন্তের নির্দেশ দিলে স্থানীয় পুলিশের সহায়তায় কবর থেকে লাশ উত্তোলন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২১ জুলাই উপজেলার হোসেন্দী গ্রামে আবদুল রাজ্জাককে মারধর করে মুখে কীটনাশক ঢেলে হত্যা করে রাতের আঁধারে কাউকে না জানিয়ে তাকে মাটি চাপা দেওয়ার অভিযোগে আবদুল রাজ্জাকের স্ত্রী সমেলা বেগম ও তার সন্তান মোহাম্মদ আলীসহ ১২ জনের নাম অন্তর্ভুক্ত করে ২৩ জুলাই গজারিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন নিহতের মা রেজিয়া বেগম।