মো রাসেল সরকার গজারিয়া প্রতিনিধিঃ
মুন্সীগঞ্জে গজারিয়া উপজেলা বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের বড় রায়পাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্পে নিজের ঘর থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় এক তরুণীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে গজারিয়া থানা পুলিশ। নিহত তরুণীর নাম ইতি আক্তার(১৯)। সে বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের বড় রায়পাড়া গ্রামের সালাউদ্দিনের মেয়ে বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানায়, নিহত ইতির বাবা সালাউদ্দিন দরিদ্র রিকশা চালক আর মা হালিমা বেগম স্থানীয় কয়েল ফ্যাক্টরির শ্রমিক। গত প্রায় দেড় বছর ধরে তারা বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের বড় রায়পাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের এক নম্বর ঘরে বসবাস করছেন। সালাউদ্দিন ঢাকাতে রিকশা চালান, সুযোগ পেলে মাসে দু'এক বার বাড়িতে আসেন। তার তিন সন্তানের মধ্যে ইতি দ্বিতীয় ছিল। বড় মেয়ে কল্পনার বিয়ে হয়ে গেছে সে নারায়ণগঞ্জে শ্বশুরবাড়িতে থাকে একমাত্র ছেলে নাঈমের বয়স নয় বছর। মা কাজে গেলে দিনের বেশিরভাগ সময় বাড়িতে একাই থাকতেন ইতি। মাঝেমধ্যে বাঁশ দিয়ে মাছ ধরার চাই বানানোর কাজ করতেন।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ইতির খালাতো ভাই সবুজ মিয়ার স্ত্রী সুখী আক্তার বলেন, টাকা ধার নেবার কথা বলতে সোমবার (১২ জুন) সকাল আটটার দিকে তিনি বেশ কয়েক বার ইতির মোবাইলে কল দেন কিন্তু সেটা সে রিসিভ করেনি। পরবর্তীতে সে তাদের বাড়িতে আসেন এবং ঘরের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ করা দেখতে পান। অনেকক্ষণ ডাকাডাকি করে কোন শব্দ না পাওয়ায় তিনি ইতির নানী আয়েশা বেগম ও ছোট ভাই নাঈমকে ডেকে আনেন। তারা সবাই মিলে ডাকাডাকি করার পরও দরজা না খোলায় বিষয়টি তারা স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং থানা পুলিশকে জানান। পরবর্তীতে সকাল সাড়ে দশটার সময় পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় ইতির লাশ দেখতে পায়।
নিহত ইতির মা হালিমা বেগম বলেন, তিনি সকাল সাড়ে সাতটা বাজে ফ্যাক্টরির উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। তার একমাত্র ছেলে নাঈম বয়সে ছোট হওয়ায় খেলাধুলা নিয়ে ব্যস্ত থাকে দিনের বেশিরভাগ সময় বাসার বাহিরে থাকে। পড়ালেখা না করায় ইতি বাসাতে একাই থাকতো। কি কারণে সে এ কাজ করলে তা তার জানা নেই। তবে গত এক দেড় মাস ধরে সে একটি ছেলের সাথে ফোনে কথা বলে এ বিষয়টি তারা খেয়াল করেন। একটি ছেলের সাথে তার সম্পর্ক আছে হয়েছে তারা শুধু এটুকু জানেন। তবে ওই ছেলের নাম পরিচয় কিছুই জানেন না।
বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া থানার এসআই সিকান্দার আলী বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে ছুটে এসে ঝুলন্ত অবস্থায় ইতির লাশ উদ্ধার করি। বিষয়টিকে প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা বলে মনে করছি আমরা তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরে শতভাগ নিশ্চিত হওয়া যাবে। তার মরদেহের পাশেই তার মোবাইল ফোনটি পাওয়া গেছে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখবো।
দাইয়ানুর রহমান (সম্পাদক) তাপস কুমার ঘোষ (প্রকাশক) শিমুল হোসেন, (নির্বাহী সম্পাদক) আজহারুল ইসলাম-বাবলু হোসেন ( নির্বাহী সম্পাদক)
অফিসঃ পশ্চিম শেওড়াপাড়া- ইকবল রোড বাসা নং- ৪১৬/৪ মিরপুর ঢাকা-১২১৬,
Email: Info@sumoyersonlap.com, taposhg588@gmail.com,shimul00252@gmail.com
01715522822, 01728.855627, 01710118632, 01709255325
https://www.sumoyersonlap.com
কপি করা নিষিদ্ধ ও দণ্ডনীয় অপরাধ।