নিজস্ব প্রতিবেদনঃ
মুন্সীগঞ্জে গজারিয়া উপজেলা আলীপুরা গ্রামের জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ৪জন আহত হয়েছে। তবে এ ঘটনায় পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগ উঠেছে থানা পুলিশের বিরুদ্ধে। পুলিশ এক পক্ষে অবস্থা নিয়ে অন্য পক্ষের লোকদের পিস্তল উচিয়ে হুমকি দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে আরেক পক্ষের লোকজন। আহতরা হলেন,স্বপ্না বেগম (৩৫),ফাইজা(১৯),মুক্তার হোসেন মিয়াজী (৪০),টিটু মিয়াজী (৩৩)। সরোজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ভবেরচর ইউনিয়নের আলীপুরা গ্রামে আলীপুরা মৌজায় আরএস ৭১১দাগে ২৩ শতাংশ জমি নিয়ে রেজাউল শিকদার গংদের সাথে মুক্তার হোসেন মিয়াজী গংদের বিরোধ চলছিল। সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার শালিশ বৈঠক হয়েছিল তবে বিষয়টির সমাধান হয়নি। বিষয়টির সমাধান না হলেও রেজাউল শিকদার ও তার লোকজন জোরপূর্বক জমিটির চারদিকে দেয়াল নির্মাণ করে ফেলে। এদিকে গত কয়েকদিন ধরে দেয়ালের ভেতরে জায়গায় জোরপূর্বক স্থাপনা নির্মাণ শুরু করে তারা। তাদের এই কাজে বাধা প্রদান করে প্রতিপক্ষ মুক্তার হোসেন মিয়াজী ও তার লোকজন। এ ঘটনায় রেজাউল শিকদারদের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। এদিকে শনিবার বিকালে পুলিশ ঘটনার তদন্তে গেলে পুলিশের উপস্থিতিতে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। ভুক্তভোগী স্বপ্না বেগম বলেন, পুলিশ মূলত রেজাউল শিকদারের পক্ষে জায়গা দখল করতে এসেছিল। তারা এখানে এসেই আমাদের গালাগাল করতে থাকে,আমরা তার প্রতিবাদ করলে প্রতিপক্ষের লোকজন ও পুলিশ আমাদের মারধর করে। আরেক ভুক্তভোগী টিটু মিয়াজী বলেন, গজারিয়া থানায় একজন এসআই আমাকে মারধর করে থানায় নিয়ে যেতে চায়।
এসময় আমি কৌশলে তার কাছ থেকে মুক্ত হয়ে দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা করলে তিনি পিস্তল উচিয়ে আমাকে গুলি করার হুকমি দেন। বিষয়টি স্থানীয় কয়েক’শো মানুষ দেখেছে। পুলিশের কাজ হচ্ছে আইনশৃংখলা রক্ষা করা তবে পুলিশ যদি মানুষকে জায়গা দখল করে দেওয়ার কন্টাক্ট নেয় তাহলে আর ন্যায় বিচার থাকলো কোথায়। ভুক্তভোগী মুক্তার মিয়াজী বলেন,পুলিশের উপস্থিতিতে তারা আমাকে মারধর করছে পুলিশ তাদের থামানোর চেষ্টা করে নাই। আমার ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা মেয়েকেও মারধর করা হয়েছে। আমাদের মারধর করে আবার আমাদের পক্ষের একজন লোককে আটক করে পুলিশ থানায় নিয়ে গেছে। বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোল্লা সোহেব আলীর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, এক পক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনা তদন্তে সেখানে গেলে অপরপক্ষ পুলিশের উপর চড়াও হয়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতিতে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে যা করতে করা দরকার ছিল পুলিশ তাই করেছে। এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে।