মো রাসেল সরকার,গজারিয়া প্রতিনিধিঃ
মুন্সীগঞ্জের গজরিয়া উপজেলার ঢাকা- চট্টগ্রাম মহাসড়কের এপিআই শিল্প প্রকল্প এলাকা সংলগ্ন সড়কের প্রায় ৩০ ফুট দৈর্ঘ্যরে আইল্যান্ড বা ডিভাইডার সরিয়ে খালে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে হোটেল ব্যবসায়ী মো: উজ্জলের বিরুদ্ধে। উজ্জ্বল সেই সড়কের পাশে থাকা উজান ভাটি হাইওয়ে রেস্টুরেন্টের সত্ত্বাধিকারী। গজারিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস এ রাসেদুল জানান, উজান ভাটি রেস্টুরেন্টে এক পাশের গাড়ি ভিরতে না পারায় শুক্রবার দিবাগত রাতে রেস্তোরার বরাবর ডিভাইডার ভেঙে সরানোর ঘটনা ঘটেছে। একটি রেস্তোতার সুবিধার্থে এত বড় ঝুঁকি নেওয়া মানুষের জীবন নিয়ে খেলার মতো ঘটনা,আপনাদের দায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন ওঠতে পারে কি? ওসি বলেন,দেখুন আমাদের দোষ দিতে পারেন,রাতের আধারের ডিভাইডার সরিযেছে। এমন ব্যস্ততম সড়কে রেকার লাগিয়ে ব্লকগুলো সরিয়ে নিতে অনেক সময় লাগার কথা,সে সময় আপনাদের ভুমিকা কি ছিলো? জবাবে ওসি বলেন,রাতের আঁধারে কয়েকশ লোক ধাক্কাধাক্কি করে ব্লকগুলো সরিযে নিতে পারেন। সে সময় তারা এই পথে ছিলেননা। এই ঘটনায় আইনি কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন কিনা? জানতে চাইলে তিনি বলেন,ঘটনা জানার পর তিনি সড়ক জনপদকে অভিহিত করেছেন। আইনি ব্যবস্থা নিবেন সড়ক ও জনপদ। ওসি আরো বলেন,তিনি সড়ক জনপদের কাছে দাবি করেছেন,দূর্ঘটনা এড়াতে এই জায়গাটিতে দ্রুত স্থায়ী ডিভাইডার স্থাপন করার জন্য।
সড়ক জনপদের নারায়নগঞ্জ অঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহানা জানান,এই সড়কটির বিভিন্ন অংশে ডিভাইডার সরানোর ঘটনা ঘটে। স্থানীয় কুপ্রকৃতির মানুষেরা ব্যক্তি স্বার্থে এসব কাজগুলো করে থাকেন। পুলিশের যথাযথ সাহায্য পাওয়া নিযেও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। শাহানা ফেরদৌস জানান,দুর্ঘটনা কমাতে খালি জায়গাটিতে দ্রুত ডিভাইডার দেওয়া হবে। আর এমন অপরাধমূলক কাজ রোধ করতে থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হবে।
স্থানীয়রা জানান,বৃহত্তর চট্টগামসহ বেশ কয়েকটি জেলার লাখ লাখ মানুষ দৈনিক এ পথ ধরে চলাচল করে। সরকার দুর্ঘটনা এড়াতে সড়কে আইল্যান্ড দিছে। ব্যক্তিস্বার্থে কেন আইল্যান্ড ভেঙে ফালাইলো,অপরাধিদের আইনের আওতায় এনে বিচার করা না গেলে,এই ধরনের ঘটনা আরো বাড়তে থাকবে।আর এমন ঘটনা থামাতে না পারলে,মহা সড়কে প্রাণ ঝরে পড়ার হিরিক পড়ে যাবে।
সরেজমিনে দেখা যায়,উজান ভাটি হাইওযে রেস্তোরার অনেকটা সোজা অংশে ডিভাইডার ভেঙে ফেলা হয় রাস্তার পাশের নালায়। যে ব্লকগুলো দিয়ে সড়কে ডিভাইডার বসানো হযেছিলো। ভেঙে নেওয়া ব্লকগুলোর ওজন বেশ কয়েকটন হবে। ব্লক সরিয়ে ঢাকামুখী যানবাহনগুলো উজানভাটি হোটেলের দিকে নিয়ে যাওয়া হয। আর সড়কে দাঁড়িয়ে ইফতারের আগে অবৈধ উপায়ে গাড়ি থামিয়ে ভাঙা পথটি দিযে গাড়ি ঢোকানো হয়। এমন চিত্র রাতে ও সেহরির সময়ও। এমন পরিস্থিতিতে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভবনা থাকে। পরিস্থিতি দেখে প্রশাসনকে নির্বিকার মনে হয়। এ বিষয়ে শনিবার বিকেলে উজান ভাটি রেস্তোরার সত্বাদিকারী মো: উজ্জলের সাথে কথা বলতে গেলে,রেস্তোরায় পাওয়া যায়নি তাকে। পরে সে রাত নয়টা পর্যন্ত বহুবার মোবাইল ফোনে কল করলেও একবারের জন্যও কল রিসিভ করেনি উজ্জল।
গজারিয়া হাইওয়ে থানার তথ্য বলছেন,প্রতিমাসেই গজারিয়া অংশের মহাসড়কে বেশ কয়েকটি সড়ক দূর্ঘটনা ঘটে,যে দুর্ঘটনায় প্রাণ যায় অনেকের,মারাত্মকভাবে আহত হয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করতে হয় অনেককেই।
দাইয়ানুর রহমান (সম্পাদক) তাপস কুমার ঘোষ (প্রকাশক) শিমুল হোসেন, (নির্বাহী সম্পাদক) আজহারুল ইসলাম-বাবলু হোসেন ( নির্বাহী সম্পাদক)
অফিসঃ পশ্চিম শেওড়াপাড়া- ইকবল রোড বাসা নং- ৪১৬/৪ মিরপুর ঢাকা-১২১৬,
Email: Info@sumoyersonlap.com, taposhg588@gmail.com,shimul00252@gmail.com
01715522822, 01728.855627, 01710118632, 01709255325
https://www.sumoyersonlap.com
কপি করা নিষিদ্ধ ও দণ্ডনীয় অপরাধ।