ওমর ফারুক রনি,গাইবান্ধা প্রতিনিধি:
গাইবান্ধা সদর উপজেলা রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের ভগবানপুর গ্রামে ভাঙা টিনের জোড়াতালির একটি ঘরে মানবেতর জীবনযাপন করছে বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আবদুল জব্বার মিয়ার পরিবার।
বুধবার (১৯ মার্চ ) বীর মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী মোছা: জোবেদা খাতুন জানান, ১ ছেলে ও ২ মেয়ে রয়েছে।
অভাবের কারণে বীরমুক্তিযোদ্ধা ছেলে শাহজাহান কখনও রাজমিস্ত্রীর কাজ "কখনো ঢাকায় রিকশা চালান ব'লে এ-ই প্রতিবেদক কে জানান।
২মেয়ের মধ্যে দুজনের বিয়ে হয়েছে বড় মেয়ে নাজমা আক্তার- স্বামী খায়রুল ইসলাম ভ্যান চালায়,
ছোট মেয়ে নাছিমা- স্বামী লিটন মিয়া কাঠ মিস্ত্রি কাজ করে দুজনেরেই অভাবের সংসার তাই তাদেরও দেখতে হয় এ-ই অভাবের সংসার থেকে ।
১৯৯৪ ইং সালে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল জব্বার মিয়া মারা যান।জোবেদা বেগমের ছেলে শাহজাহান মিয়ার উপার্জিত টাকা এবং স্বামীর মাসিক ভাতা হিসাবে পাওয়া টাকা দিয়ে ৬ সদস্যের সংসার চলছে।
জোবেদা খাতুন বলেন, ‘আমরা খুব গরিব মানুষ। বাড়িতে জোড়াতালি দেয়া ভাঙা টিনের জরাজীর্ণ একটি ঘরে অতিকষ্টে দিনাতিপাত করছি। ঝড়বৃষ্টি আসলেই শুরু হয় আতংক আর বৃষ্টি আসলেই সব জায়গায় পানি পরে।
তাই আমার স্বামী মৃত্যু বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সরকারিভাবে বরাদ্দকৃত ঘর পাওয়ার জন্য ২০২০ সালে একটি আবেদন করেছিলাম।
৩ বছর অতিবাহিত হলেও এখনো ঘর নির্মান হয়নি। কি কারণে হয়নি তা জানি না।
তবে (১৯ মার্চ) ২০২৩ ইং তারিখে আবার একটি ঘরের জন্য আবেদন করেছি।
একজন অসহায় বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের সদস্য হিসেবে একটি ঘর পেতে প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করছি’।
স্থানীয় রামচন্দ্রপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম সরদার বলেন, এই অস্বচ্ছল-গরীব মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সরকারি ঘর বরাদ্দ থাকলে আমি এই পরিবারের জন্য উর্ধতন কতৃপক্ষের জোর দাবি জানাই যাতে এ-ই পরিবারটি প্রধানমন্ত্রীর একটি ঘর পায় ।
রামচন্দ্রপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) ৪নং ওয়ার্ড সদস্য সাথী মেম্বার বলেন তাদের ঘরের অবস্থা বেহাল শুধুমাত্র বাড়ি-ভিটা আছে, জমি-জমা নাই । তাদেরকে সরকারের পক্ষ থেকে একটি ঘর নির্মাণ করে দিলে পরিবারটির বাসস্থানের কষ্টটা লাঘব হতো।
তবে, ২০২০ সালে বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আবদুর জব্বর স্ত্রী ঘর আবেদন করলেও বরাদ্দ কৃত ঘর ৩ বছর অতিবাহিত হলেও তা রহস্য জনক কারণে এখনো নির্মান হয়নি।
জানতে চাইলে, গাইবান্ধা জেলা সদর মুক্তিযোদ্ধা প্রতিনিধি, আলী আকবর বলেন আমি পরবর্তী ঘরের বরাদ্দ আসলে আবেদনের জন্য সুপারিশ করবো, আমি দেওয়ার কে,আগে আনফিট ছিল তাই পায়নি। এবার আবেদন করুক।
তবে এবিষয়ে, গাইবান্ধা সদর উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার নাসির উদ্দীন সাহ্ বলেন পরবর্তী সময়ে ঘর বরাদ্দ আসলে তা গুরুত্ব দেয়ে দেখা হবে এ-ই মুক্তিযোদ্ধা পরিবার জন্য ।
গাইবান্ধা স্থানীয় সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সভাপতি প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার শরিফুল ইসলাম বলেন, প্রক্রিয়াধীন আছে ঘর বরাদ্দ দেয়া থাকলে অবশ্যই ঘর দেয়া হবে। কোন সমস্যা নেই, প্রশ্ন করলে ২০২০ সালে জোবেদা খাতুন ঘর পাওয়ার কথা থাকলেও পায়নি,পারিবারিক মা-ছেলে মধ্যে ঝামেলা ছিল শুনেছি, কোন কারণে যোগাযোগ হয়নি তাই হয়তো পায়নি। এবার আবেদন করুক দেখা হবে ওই পরিবারটির জন্য।
দাইয়ানুর রহমান (সম্পাদক) তাপস কুমার ঘোষ (প্রকাশক) শিমুল হোসেন, (নির্বাহী সম্পাদক) আজহারুল ইসলাম-বাবলু হোসেন ( নির্বাহী সম্পাদক)
অফিসঃ পশ্চিম শেওড়াপাড়া- ইকবল রোড বাসা নং- ৪১৬/৪ মিরপুর ঢাকা-১২১৬,
Email: Info@sumoyersonlap.com, taposhg588@gmail.com,shimul00252@gmail.com
01715522822, 01728.855627, 01710118632, 01709255325
https://www.sumoyersonlap.com
কপি করা নিষিদ্ধ ও দণ্ডনীয় অপরাধ।