সুরুজ্জামান রাসেল, গাজীপুর প্রতিনিধিঃ
গাজীপুরে দৈনিক বাংলাদেশের আলো পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার মোঃ আনোয়ার হোসেনকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগে মেট্টোপলিটন সদর থানার সাবেক ওসি সৈয়দ রাফিউল করিম ও এসআই আবু ছাঈদের বিরুদ্ধে তদন্তে নির্দেশনা দিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের আইজিপি।
গত রবিবার (১৯মে ২০২৪) সন্ধ্যায় আনোয়ার সংবাদ সংগ্রহ করার জন্য রাজেন্দ্রপুর হোটেল এক্সে যায়। ঐসংবাদিকের তথ্যের ভিত্তিতে উল্লেখিত তারিখের কয়েকদিন পূর্বে হোটেল এক্সসহ আরও কয়েকটি হোটেলকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছিল। পূর্ব বিরোধের জেরে গাজীপুরের বনখড়িয়া এলাকার মাটি বিক্রেতা আইনুদ্দিন ও রাজেন্দ্রপুর এলাকার মাসুমের স্ত্রী মাহমুদা তাদের নিজস্ব বাহিনীর ২০/২৫ জন সন্ত্রাসী দিয়ে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আনোয়ারকে জোরপূর্বক আটক করে মাহমুদার হুকুমে আনোয়ারকে ধরে গজারী বনে নিয়ে গিয়ে মারধর করতে থাকে। তখন প্রতক্ষদর্শী শ্রী সৌরভ মজুমদার ৯৯৯ ফোন করে এই বিষয়ে জানালে তাৎক্ষণিক সদর থানার এসআই আবু ছাঈদ সাদা রংয়ের নোয়া গাড়ি দিয়ে আসে। জঙ্গল থেকে আনোয়ারকে উদ্ধার করে। আনোয়ার ও মাহমুদাকে পুলিশের গাড়িতে করে সদর থানায় নিয়ে যায়।
ইতিপূর্বে সদর থানার সাবেক ওসি সৈয়দ রাফিউল করিমের বিভিন্ন অনিয়মের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রচার এবং আনোয়ারের স্ত্রী নারী পুলিশ কনস্টেবল রুবিনার সাথে সাংসারিক জীবনে বনিবনা না হওয়ায় পূর্ব থেকেই আনোয়ারকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর আপ্রাণ চেষ্টা করেছিল। পুলিশ মাহমুদা ও আনোয়ারকে থানায় নিয়ে আসার পর পুলিশ আনোয়ারকে অমানবিক শারীরিক নির্যাতন করে। আনোয়ারের শারীরিক পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায় পুলিশ গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। ঐদিন রাতেই সদর থানার পুলিশের যোগসাজশে মাহমুদার স্বামী মাসুমের গাড়ির কাউন্টারের সুপারভাইজার ইব্রাহীমকে বাদী করে মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে চাঁদা বাজি মামলা রুজু করে। পুলিশ এমামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে রিমান্ডের আবেদনসহ আনোয়ারকে কোর্টে সোপর্দ করে।
এঘটনায় গত শনিবার (১২ অক্টোবর) পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের ৪৪.০১.০০০০.১০১.৩৯.০৩৩.২৪/৩৮৭০ নং স্মারকে উক্ত চাঁদা বাজির মিথ্যা মামলা রুজু করার অভিযোগে সদর থানার সাবেক ওসি ও এসআই এর বিরদ্ধে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারকে তদন্তের নির্দেশনা দিয়েছেন।
এঘটনায় ৯৯৯'এর সংবাদ দাতা শ্রী সৌরভ মজুমদার বলেন, গত রবিবার (১৯মে ২০২৪) সন্ধ্যার পর আইনুদ্দিন ও মাহমুদার বাহিনীর সদস্যরা আনোয়ারকে জঙ্গলে ধরে নিয়ে মারধোর করতে থাকে। তখন আমি ৯৯৯'এ ফোন দিয়ে জানালে পুলিশ এসে গজারী বন থেকে আনোয়ারকে উদ্ধার করে। মাহমুদা ও আনোয়ারকে এসআই আবু ছাঈদ থানায় নিয়ে যায়। আমি ৯৯৯ ফোন করায় পুলিশের এসআই আবু ছাঈদ আমার বাড়ীতে গিয়ে আমাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকী প্রদান করিতেছে।
এবিষয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অপরাধ উত্তর বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) নাজির আহমেদ জানান, উক্ত বিষয়ে অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ শাহাদত হোসেন সুমা অনুসন্ধান করছেন। যা বর্তমানে তদন্তাধীন।
দাইয়ানুর রহমান (সম্পাদক) তাপস কুমার ঘোষ (প্রকাশক) শিমুল হোসেন, (নির্বাহী সম্পাদক) আজহারুল ইসলাম-বাবলু হোসেন ( নির্বাহী সম্পাদক)
অফিসঃ পশ্চিম শেওড়াপাড়া- ইকবল রোড বাসা নং- ৪১৬/৪ মিরপুর ঢাকা-১২১৬,
Email: Info@sumoyersonlap.com, taposhg588@gmail.com,shimul00252@gmail.com
01715522822, 01728.855627, 01710118632, 01709255325
https://www.sumoyersonlap.com
কপি করা নিষিদ্ধ ও দণ্ডনীয় অপরাধ।