মো রাসেল সরকার,গজারিয়া প্রতিনিধিঃ
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া অংশ থেকে গাড়িসহ চুরি হওয়া একটি গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠানের মালামাল উদ্ধার করেছে গজারিয়া থানা পুলিশ। এই ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে গাড়িটির চালক সমেজ মিয়া(৩৫)কে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
গজারিয়া থানা ও হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মিনি পিকাপ ভ্যান চালক সমেজের মাধ্যমে তারা জানতে পারেন মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে বারোটার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গজারিয়া অংশের বাউশিয়া এলাকা থেকে গাড়িসহ ঢাকার গাজীপুর এলাকার এপিএস গ্রুপ নামে একটি গার্মেন্টস কারখানার কিছু মালামাল চুরি হয়েছে। বুধবার বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে ভবেরচর ইউনিয়নের আনারপুরা এলাকায় একটি ঝোপের পাশে মিনি কাভার্ড ভ্যানটিকে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে তারা গাড়ির মালিকের মোবাইলে স্থানীয় একজন কিশোর ফোন দিলে সেই সূত্র ধরে তারা গাড়িটি উদ্ধার করা হয়।
এদিকে গাড়ি চালক সমেজ দাবি করেন, মঙ্গলবার বিকাল তিনটার দিকে তিনি চট্টগ্রাম বন্দর থেকে গাড়িতে মাল লোড করে গাজীপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হন তিনি। রাত সাড়ে বারোটার দিকে গাড়িটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গজারিয়া অংশের বাউশিয়া নিউহোপ ইন্ডাস্ট্রির সামনে আসলে তিনটি মোটরসাইকেলে কয়েকজন যুবক তার গতিরোধ করে। পরবর্তীতে তিনি গাড়িটি থামালে যুবকরা তাকে মারধর করে গাড়ি থেকে ফেলে দিয়ে গাড়িটি নিয়ে চলে যায়। অন্য একটি গাড়ি তাকে উদ্ধার করে গজারিয়া থানায় পৌঁছে দিলে তিনি সেখানে গিয়ে পুলিশকে খবরটি জানান।
এপিএস গ্রুপের ব্যবস্থাপক ( বাণিজ্য ) আবু ইউসুফ বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠানের জন্য আমরা চীনা থেকে কিছু এক্সেসরিজ আমদানি করি। আমদানি করা এক্সেসরিজের আনুমানিক বাজার মূল্য ২০ লক্ষ টাকা। সেগুলো চট্টগ্রাম বন্দর থেকে আমাদের কোম্পানিতে পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল ট্রান্সপোর্ট কোম্পানির। বুধবার সকালে খবর পেলাম ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গজারিয়া অংশ থেকে গাড়িসহ মালামাল চুরি হয়ে গেছে। বিষয়টির খোঁজ নিতে আমরা গজারিয়া থানায় যাই। স্থানীয়দের খবরের ভিত্তিতে বুধবার বিকালে চুরি হওয়া গাড়ি এবং মালামাল উদ্ধার করা হয়।
ঘটনার সততা নিশ্চিত করে মুন্সীগঞ্জ সদর-গজারিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থান্দার খায়রুল হাসান বলেন, বুধবার বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে স্থানীয়দের মাধ্যমে তথ্য পেয়ে উপজেলার আনারপুরা থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় আমরা মিনি কাভার্ড ভ্যানটি উদ্ধার করি। গাড়িতে সকল মালামাল অক্ষত অবস্থায় ছিল। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মিনি পিকাপ ভ্যানটির চালককে গজারিয়া থানায় রাখা হয়েছে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।