আজহারুল ইসলাম সাদী, স্টাফ রিপোর্টারঃ
সাতক্ষীরাকে গৃহহীন ও ভূমিহীনমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে।কিন্তু এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন জেলা ভূমিহীন সমিতি।মঙ্গলবার (১১ জুন) পঞ্চম ধাপে সাতক্ষীরায় ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মাঝে ২৫০টি ঘরের চাবি ও ২শতক জমির দলিল প্রদানের মাধ্যমে সাতক্ষীরাকে গৃহহীন ও ভূমিহীনমুক্ত জেলা ঘোষণা করা হয়েছে। সাতক্ষীরা সদর উপজেলা অডিটরিয়ামে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ঘোষণা দেন। সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শোয়াইব আহমেদের সভাপতিত্বে জেলা প্রশাসক হুমায়ুন কবির ২৫০ পরিবারের মাঝে এ ঘর বরাদ্দ দেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কোহিনুর ইসলাম, সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ইয়ারুল হক, সমাজসেবা অফিসার সহিদুর রহমান প্রমুখ।
এব্যাপারে সাতক্ষীরা জেলা ভুমিহীন সমিতি প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, এমন অনেক ভূমিহীন আছে যারা ঘর পায়নি?
আবার ঘর পেয়েছেন এমন অনেকেই স্বাবলম্বী।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ
হুমায়ুন কবির বলেন, সারা পৃথিবীর কোন রাস্ট্রনায়ক বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর মতো গৃহহীনদের ঘর তৈরি করে দেওয়ার সাহস দেখাননি। সরকারি ঘর না পেলে অসহায় এসব মানুষদের থাকার জায়গা হতোনা।
গৃহহীন ও ভুমিহীনমুক্ত ঘোষণার পরেও যদি কেউ ঘর পাননি, এমন দেখা যায়, তাহলে যাচাই-বাছাই সাপেক্ষে তাদের ঘর নির্মাণ করে দেওয়ার কাজ চলমান থাকবে বলে জানান জেলা প্রশাসক।
অনেক প্রকৃত ভূমিহীনদের সাথে কথা বলে জানা গেছে আমরা প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসে আস্বস্ত হয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করি, কিন্তু ঘর পাইনি?
সরাসরি তদন্ত ছাড়াই মিথ্যা অভিযোগে কারো কারো দাদার জমি আছে এমন প্রতিবেদন দিয়েছেন সদর ভূমি সার্ভেয়ার বরকত।
অথচ আইন আছে সরেজমিনে গিয়ে তদন্ত করে দেখা।
এমন অভিযোগ করেন সাতক্ষীরা শহরের তাসলিমা তিনি জানান শ্বশুর মারা গেছেন ১৭ বছর পূর্বে, তার একাধিক পরিবার ছিলো এবং বহু সম্পদ ও ছিলো, কিন্তু তার স্বামী কোন সম্পদ পায়নি?
শ্বশুর এর অনান্য ওয়ারেশ সবাই যথেষ্ট সম্পদ পেয়েছে, আমার স্বামী ছোট পক্ষের হওয়ার ফলে বড় ও মেঝ শ্বাশুড়ি ও সৎ ভাসুর দের তঞ্চকতায় আমরা কোন সম্পদ পাইনি?
শ্বশুর শহরের তিন চলা বিশিষ্ট সাড়ে তিন শতক জমি আমার স্বামীকে রেজিষ্ট্রি করে দিতে উদ্যোগ নিলে ভাসুরা শ্বশুর কে জিম্মি ও নির্যাতন করে সে জমি নিজের নামে এওয়াজ দলিল করে নেয়, এওয়াজ করা জমিতে শ্বশুর ও আমার স্বামী ১৫ বছর বসবাস করলে ও আমার শ্বশুরের মৃত্যুর পর পূণরায় ভাসুর পিতার সাথে এওয়াজ করা জমি অনাত্র বিক্রয় করে দেন।
ফলে সেখান থেকে উচ্ছেদ হয়ে এখানে সেখানে মানবেতর জীবন-যাপন করছি আমরা।
আমার স্বামীকে ও মানসিক ভারসাম্য করে রেখেছে।
জনদরদী প্রধানমন্ত্রী দুই শতাংশ জমি সহ ঘর দিচ্ছেন জেনে আমি একটি আবেদন করি।
কিন্তু আমার সম্পর্কে সরাসরি খোঁজ না নিয়ে মোবাইল এ আমার ছেলের কাছে একদিন মোবাইলে আইডি কার্ড এর ফটোকপি চায় আমি সদর ভূমি অফিস এর সার্ভেয়ার বরকত এর কাছে ফটোকপি জমা দেই।
কিন্তু দু'বছর অতিবাহিত হলেও ঘর পেলাম না?
ভূমি অফিস এর সার্ভেয়ার বরকত এর সাথে আলাপকালে এ প্রতিনিধিকে জানান, ফোনে খোঁজ নিয়ে ছিলাম তাসলিমার স্বামী শ্বশুরের জমি পাবে।
এ প্রতিনিধি সরজমিন পরিদর্শন শেষে জানতে পারেন তাসলিমার শ্বশুরের জমি আছে ১.৪৩ শতাংশ, তিনি মারা গেছেন ১৭ বছর পূর্বে।
১.৪৩ জমি টার ওয়ারেশ আছে ১৮ জন।
এমতাবস্থায় নির্যাতনের শিকার তাসলিমা একটি ঘর পাওয়ার যোগ্য হলেও ঘর পায়নি?
এদিকে পঞ্চম ধাপে
ঘর পেয়ে খুশি ভূমিহীন ও গৃহহীনরা।
জেলা প্রশাসনের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলায় এ পর্যন্ত ৩ হাজার ৩৬৭টি ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে।
দাইয়ানুর রহমান (সম্পাদক) তাপস কুমার ঘোষ (প্রকাশক) শিমুল হোসেন, (নির্বাহী সম্পাদক) আজহারুল ইসলাম-বাবলু হোসেন ( নির্বাহী সম্পাদক)
অফিসঃ পশ্চিম শেওড়াপাড়া- ইকবল রোড বাসা নং- ৪১৬/৪ মিরপুর ঢাকা-১২১৬,
Email: Info@sumoyersonlap.com, taposhg588@gmail.com,shimul00252@gmail.com
01715522822, 01728.855627, 01710118632, 01709255325
https://www.sumoyersonlap.com
কপি করা নিষিদ্ধ ও দণ্ডনীয় অপরাধ।