সজল রায়,কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধিঃ
কুষ্টিয়া জেলার খোকসা উপজেলার গোপগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ আবুল কালাম বিরুদ্ধে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে জবরদখলে অন্যের ফসলী জমি নষ্ট করে মাটি কাটার অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগী মোঃ ছাইফুল ইসলামের
অভিযোগ তাদের না জানিয়েই নিজ নামের ফসলি জমির মাটি কেটেছেন। তারা বাধা দিলে তাদের লোকজন দিয়ে ভুক্তভোগীদের পিটিয়ে জোর করে ফসলি জমির মাটি কেটে জমির ফসল নষ্ট করছে। এতে তাদের প্রায় লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে তার দাবি।
ভুক্তভোগী মোঃ ছাইফুল ইসলাম
বলেন, আমার জগনাথপুর মৌজার নিজ দখলকৃত জমিতে জোর পূর্বক অনাধিকার প্রবেশ করে আমার জমি থেকে বিবাদীর লোকজন দিয়ে মাটি কাটে। আমি বিষয়টি জানতে পেরে মোঃ আবুল কালাম (৫০), এর নিকট নিষেধ করি। অতঃপর আমি গোপগ্রাম সুইচ গেটে চায়ের দোকানে বসে চা খাওয়া অবস্থায় আবুল কালাম ও তার ছেলে ফারুখসহ কয়েকজন আমাকে সজরে লাথি মেরে মাটিতে ফেলে দিয়ে পায়ের চটি খুলে আমার মুখ মন্ডলে অনাবরত মারতে থাকে এবং পাশে থাকা বাশের লাঠি দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাথারী পিটিয়ে নিলাফোলা জখম করে আমার নিকটে থাকা ব্যবসার নগদ ৩০,০০০/= হাজার টাকা জোর পূর্বক ছিনিয়ে নেয় এবং আমাকে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রাণ নাশের হুমকি ধামকি দিয়ে ঘটনা স্থান ত্যাগ করে।
পরবর্তীতে তারা আমার বাড়িতে প্রবেশ করে আমার পরিবারের সদস্যদের অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে ও বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রাণ নাশের হুমকি ধামকি দিয়ে বলেন যে, বর্ণিত ঘটনাটি আমি যদি কাওকে বলি তাহলে আমার বাড়ি ঘর রাতের আধারে পুড়িয়ে মারবে বলে হুমকি প্রদর্শন করে ঘটনা স্থান ত্যাগ করে চলে যায়।
উল্লেখ্য এই যে, আমার রেজিস্ট্রিকৃত নিজ জমি থেকে জোর পূর্বক মাটি কাটে এবং আমাকেই বেধড়ক মারপিট করে ও হুমকি ধামকি দেয়।
তিনি আরো বলেন, বর্তমানে আমি সহ আমার পরিবারের সকল সদস্য নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রয়েছি। ঘটনার বিষয়টি স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ আত্মীয়-স্বজনদের সাথে আলাপ-আলোচনা করিয়া থানায় অভিযোগ করি। আর আমি আবুল কালামের অন্যায়ের বিরুদ্ধে সুষ্ঠ বিচার দাবি করি।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত গোপগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আবুল কালামের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায় নি।