এম, টি, রহমান মাহমুদ, গোপালগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
গোপালগঞ্জ কাশিয়ানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চত্বরেই মিলছে গাঁজা বা ভাং গাছের বাগান। হাসপাতালের স্টাফ কোয়ার্টরের পথের পাশে সবজির বাগান ও হাসপাতালের মূল গেট দিয়ে জরুরী বিভাগে যাওয়ার পথে অসংখ্য গাঁজা বা ভাং দেখা যায়। এসব গাছ থেকে গন্ধও ছড়াচ্ছে। এছাড়াও হাসপাতালের উত্তর পাশের বন্ধ জায়গাও ছোট বড় অসংখ্য নেশাজাতীয় সব গাছ রয়েছে। কোনও কোন ও গাছ কয়েক ফুট লম্বা হয়েছে।
খবর পেয়ে RAB-6 এর কাশিয়ানী উপজেলার ভাটিয়াপাড়া ক্যাম্পের সদস্যরা গাঁজা গাছের জায়গাগুলো পরিদর্শন করে গাছগুলো তুলে জব্দ করে।
এ বিষয়ে হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার আর এম ও ড.আমিনুল ইসলাম জানান এই গাছ আগে আরো বেশি ছিল । অনেক গাছ কেটে পরিষ্কার করেছি,শিকড় থেকে যা আবার হয়। সকলের সামনেই এই কাজগুলো বেড়ে উঠেছে, কিন্তু কারো চোখে পড়েনি তবে এটা গাঁজার গাছ না, ইন্ডিয়ান ভাঙ্গ গাছ তা আমাদের জানা ছিল না।
RAB-6 কাশিয়ানী উপজেলার ভাটিয়াপাড়া ক্যাম্প কমান্ডার মোহাম্মদ রাসেল সাংবাদিকদের বলেছেন,আমরা ১২০০নেশা জাতীয় গাছ উদ্ধার করে কাঁচা অবস্থায় কাশিয়ানী থানার হস্তান্তর করেছি। পুলিশ আদালতের মোতাবেক ব্যবস্থা নেবে। তবে এইগুলো গাজা বা ভাং কিনা তা তিনি বলতে পারিনি।
তবে গোপালগঞ্জ বন সংরক্ষক জনাব বিবেকানন্দ বিশ্বাস এই গাছ গুলোকে প্রাথমিক ভাবে ভাংগাছ (নেশা জাতীয় গাছ) হিসেবে উল্লেখ করেন।
অন্যদিকে, গোপালগঞ্জ সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান জনাব সুকলাল বিশ্বাস এই গাছ গুলোকে গাঁজা হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর ভিতর এই গাছ কি ভাবে এলো বা এতদিন কার নজরে পরেনি! স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর নিকটেই কাশিয়ানী থানা। নেশা জাতীয় গাছ কে বা কারা এতদিন সুকৌশলে সকলের চোখ ফাঁকি দিয়ে রোপন করেছে। কতৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করে এর সুষ্ঠু নিরপেক্ষ তদন্ত দাবী করেছেন।