এম মনি চৌধুরী রানা চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ
চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে সঠিক সময়ে বিদ্যালয়ে উপস্থিত না হওয়া, অফিস কক্ষ বন্ধ ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন না করে এবং নির্দিষ্ট সময়ে শ্রেণি কার্যক্রম শুরু না করায় একই সাথে এক স্কুলের ১১ (এগার) শিক্ষককে শোকজ করা হয়েছে। গত বুধবার ৬ মার্চ বিকালে খোয়াজনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ ১১ জন ওই শিক্ষকদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার (এটিও) সৈয়দা আমাতুল্লাহ আরজু।
এর আগে ওইদিন সকাল ৯ টা ৫ মিনিটে তিনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি পরিদর্শনে যান। ৯টা ১০ মিনিটেও স্কুলের অফিস বন্ধ পাওয়া যায়। শোকজ করা প্রধান শিক্ষক ও সহকারি শিক্ষকরা হলেন-খোয়াজনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সামিরা পারভীন, সহকারি শিক্ষক আসমা আক্তার, শ্যামলী সেন, নুসরাত জাহান, আনোয়ারা খানম ছিদ্দিকা, সেগুপ্তা নাসরিন, রোকসানা ফেরদৌসী, সংগীতা দে, সুমি দত্ত, শান্তা দত্ত ও নিলুফা আকতার চৌধুরী। উপজেলা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, গত ৬ মার্চ উল্লেখিত স্কুলটি পরিদর্শনের সময় বিদ্যালয়ের কর্মরত ১২ জন শিক্ষকের মধ্যে ১১ জন শিক্ষককে কর্মস্থলে পাওয়া যায়নি পরিদর্শনের সময় অফিস কক্ষও বন্ধ পাওয়া যায়। যথাসময়ে বিদ্যালয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়নি। দৈনিক সমাবেশ যথাসময় হয়নি। এমনকি যথাসময়ে শ্রেণি কার্যক্রমও শুরু করা হয়নি। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস আরও জানান, বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বিলম্বে উপস্থিতির বিষয়ে অভিভাবকরাই ফোনে অফিসে বারবার অভিযোগ করে আসছিলেন। পরে বিকেলে প্রধান শিক্ষকসহ এগার শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। নোটিশে সঠিক সময়ে বিদ্যালয়ে উপস্থিত না হওয়ায় তাঁদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা কেন নেওয়া হবে না মর্মে তিন কার্য দিবসের মধ্যে জবাব চাওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে খোয়াজনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সামিরা পারভীন বলেন,’ আমার একটু বাসায় সমস্যা ছিলো। তাই যেতে দেরি হয়েছিলো। সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার স্কুলে থাকাবস্থায় ৪/৫ জন শিক্ষক অলরেডি স্কুলে চলে এসেছিলেন। তবু ও বিকেলে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাই আমরা। আমি শোকজ নোটিশের জবাব লিখেছি। অভিভাবকরাই অভিযোগ দিচ্ছেন শিক্ষকরা সময় মতো স্কুলে আসেন না, এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধান শিক্ষক জানান,’ স্কুলের কমিটি ও জায়গা সংক্রান্ত ব্যাপারে নানা ঝামেলা রয়েছে। আপনারা উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে জেনে নিতে পারেন। এর চেয়ে বেশি কিছু আমি বলতে পারব না। জানতে চাইলে সহকারি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সৈয়দা আমাতুল্লাহ আরজু বলেন, ‘আমি সকাল ৯টা ৫ মিনিটে ওই বিদ্যালয়ে পরিদর্শনে যাই। তখন শুধু একজন শিক্ষক স্কুলে ছিল। ১২ জন শিক্ষকের মধ্যে তিনিই মাত্র উপস্থিত ছিলেন। প্রধান শিক্ষক ও ছিলেন না।
দাইয়ানুর রহমান (সম্পাদক) তাপস কুমার ঘোষ (প্রকাশক) শিমুল হোসেন, (নির্বাহী সম্পাদক) আজহারুল ইসলাম-বাবলু হোসেন ( নির্বাহী সম্পাদক)
অফিসঃ পশ্চিম শেওড়াপাড়া- ইকবল রোড বাসা নং- ৪১৬/৪ মিরপুর ঢাকা-১২১৬,
Email: Info@sumoyersonlap.com, taposhg588@gmail.com,shimul00252@gmail.com
01715522822, 01728.855627, 01710118632, 01709255325
কপি করা নিষিদ্ধ ও দণ্ডনীয় অপরাধ।