বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:১৯ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
মুন্সীগঞ্জ কারাগারে অসুস্থ হয়ে কয়েদির মৃত্যু কালিগঞ্জের কৃতি সন্তান এ্যাডঃ আব্দুস সাত্তার পিপি নিযুক্ত হলেন কালিগঞ্জ অফিসার ইনচার্জ হিসাবে যোগদান করেন হাফিজুর রহমান কালিগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যানের অনিয়ম দুর্নীতির প্রতিবাদে শাস্তির দাবীতে  মানববন্ধন অনুষ্ঠিত  সাংবাদিকদের তথ্য না দিয়ে উধাও মাদ্রাসা সুপার,সুপারের নিয়োগ বাতিল চায় এলাকাবাসী আল্লাহওয়ালাদের সান্নিধ্যে যেতে হবে: মুফতী খলীল আহমদ কাসেমী  বোয়ালখালীতে এসএ সল্ট ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডকে বিশ হাজার জরিমানা ফুলবাড়ীতে ছাত্রলীগ নেতা আটক চারঘাটে আইন শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত  পুলিশের পোশাক পরে গরু চুরির আটক চারজন 

চট্টগ্রাম থেকে সংরক্ষিত আসনে এমপি হতে তোড়জোড়

এম মনির চৌধুরী রানা, চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ
  • আপডেট সময় রবিবার, ২৮ জানুয়ারী, ২০২৪
  • ১৪১ বার পঠিত

 

এম মনির চৌধুরী রানা, চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ

সদ্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষে নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা শপথ নিয়েছেন। গঠিত হয়েছে সরকারের নতুন মন্ত্রিসভা। রাজনীতির মাঠে এখন সবার দৃষ্টি সংরক্ষিত নারী আসনের দিকে। চট্টগ্রাম থেকে এবার কারা হচ্ছেন দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য তা নিয়ে সর্বমহলে চলছে ব্যাপক আলোচনা। গত নবম, দশম ও একাদশ সংসদে চট্টগ্রাম থেকে দুজন করে সংরক্ষিত আসনে এমপি ছিলেন। এবার সেই সংখ্যা বেড়ে ৩ জন হতে পারে বলে জানা গেছে।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ২২৩টি, জাতীয় পার্টি ১১টি, জাসদ ১টি, ওয়ার্কার্স পার্টি ১টি, কল্যাণ পার্টি একটি, স্বতন্ত্র ৬২টি আসন পেয়েছে। আসন ভিত্তিক আনুপাতিক হারে এবার আওয়ামী লীগ ৩৮টি (নৌকা প্রতীকে জয়ী জাসদ ও ওয়ার্কার্স পার্টির দুইজনসহ), জাতীয় পার্টি দুটি, স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জোটভুক্ত হয়ে ১০টি সংরক্ষিত আসন পেতে পারে। অন্যান্য বারের চেয়ে এবার সংরক্ষিত আসনে চট্টগ্রাম থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশীর সংখ্যা অনেক বেশি। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে সংরক্ষিত আসনে চট্টগ্রাম থেকে এখন পর্যন্ত ১৯ জন নারীনেত্রী দলীয় মনোনয়ন নেয়ার কথা জানিয়েছেন। এই ১৯ জন নারী নেত্রী মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর পছন্দের তালিকায় রয়েছেন বেশ কয়েকজন।

এই তালিকায় আছেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ এবং চট্টগ্রাম নগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের নেত্রীরা। এর মধ্যে বেশিরভাগই প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতাদের পরিবারের সদস্য। তবে শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর পছন্দের তালিকায় কারা আছেন, কারা পাচ্ছেন দ্বাদশ জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত আসনের মনোনয়ন এবং সেই সৌভাগ্যবান কারা তা নিয়ে চট্টগ্রামের রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে শুরু করে সর্ব মহলে আগ্রহের সৃষ্টি হয়েছে। সংরক্ষিত আসনের সেই সৌভাগ্যবান নারী সংসদ সদস্য কারা তা জানতে আরো কিছু দিন অপেক্ষা করতে হবে। নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণার পর আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু করবে। এরপর আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মনোনয়ন প্রত্যাশীদের রাজনৈতিক, সামাজিক, শিক্ষাগত যোগ্যতাসহ সব দিক বিবেচনা করে মনোনয়ন দিবেন। সংরক্ষিত আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের অনেকেই গেল ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে ঢাকায় আসা যাওয়ায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অনেকেই গত ২০ দিন এবং অনেকেই ১৫ দিন অনেকেই সাত সপ্তাহ ধরে ঢাকায় অবস্থান করছেন। অনেকেই আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে দেখা করেছেন। দলের কেন্দ্রীয় নেতা এবং মন্ত্রীদের সাথে দেখা করে নানান ভাবে চেষ্টা করছেন। অনেকেই চট্টগ্রামের প্রত্যেক সংসদ সদস্য এবং মন্ত্রীদের সমর্থন লাভের ও চেষ্টা করছেন। জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসন আইন অনুযায়ী সাধারণ আসনের নির্বাচনের ফলাফলের গেজেট প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে সংরক্ষিত আসনের নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা এবং নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের রাজনৈতিক দল বা জোটগত সদস্যদের তালিকা প্রস্তুত করবে নির্বাচন কমিশন।

এছাড়াও ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তাই আগামী ৭ এপ্রিলের মধ্যে সংরক্ষিত আসনের নির্বাচন করতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের সংরক্ষিত ৫০ নারী আসনের ভোট ফেব্রুয়ারিতে করার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। কারণ ১৩ মার্চ থেকে রমজান শুরু হতে পারে। আগামী সপ্তাহে সংরক্ষিত নারী আসনের তফসিল হতে পারে জানিয়ে ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, ভোটার যারা, সাংসদ সদস্যরা, তাদের তালিকা আমরা সাংসদ থেকে পেয়েছি। ভোটার তালিকা যেভাবে প্রকাশ করা হয়, সেভাবে সাংসদে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। প্রকাশ হওয়ার পর যদি কোনো আপত্তি না থাকে, সেটাই ভোটার তালিকা হবে। পরবর্তীতে কমিশনের অনুমোদনক্রমে তফসিল ঘোষণা হবে।

সাংবাদ পড়ুন ও শেয়ার করুন

আরো জনপ্রিয় সংবাদ

© All rights reserved © 2022 Sumoyersonlap.com

Design & Development BY Hostitbd.Com

কপি করা নিষিদ্ধ ও দণ্ডনীয় অপরাধ।