মৌসুমী দাস, স্টাফ রিপোর্টারঃ
আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৪র্থ ধাপের ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার রাজশাহী জেলা রির্টানিং অফিসারের কার্যালয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের হাতে প্রতীক তুলে দেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা রির্টানিং অফিসার মির্জা ইমাম উদ্দিন।
প্রতীক বরাদ্দের পরপরই জমে উঠেছে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণায়।
চারঘাট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে লড়বেন ১৫ জন প্রার্থী। এর মধ্যে ৩ জন চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী, ৬ জন পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী ও ৬ জন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী।
চেয়ারম্যান পদে আনারস প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ফকরুল ইসলাম। তিনি বিগত ৫ বছরে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করা কালীন সময়ে এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন মূলক কাজ করেছেন এবং সুখ দুঃখের সাথী সাধারণ মানুষের পাশে থেকেছেন। সেদিক থেকে তার জনপ্রিয়তা রয়েছে। নির্বাচনে বিজয়ের ব্যাপারে তিনি আশাবাদী বলে মত প্রকাশ করেন।
অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী বর্তমান উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া বিপ্লব। তিনি ঘোড়া প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। বিগত ৫ বছর তিনি সাধারণ মানুষের পাশে থেকে বিভিন্ন ধরনের উন্নয়ন মূলক কাজ করেছেন। জনগণ তাকে নির্বাচন করবেন বলে তিনি আশাবাদী।
এ ছাড়া কাজী মাহমুদুল হাসান মামুন চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে মাঠে থাকলেও গত ১২ মে বাছাই পর্বে নির্বাচনী আইনী জটিলতার কারণে তার প্রার্থী পদ সাময়িক বাতিল হয়। আইনী দিক থেকে প্রার্থীতা পদ ফিরে পেতে মহামান্য হাই কোর্টে আবেদন করলে মহামান্য হাই কোর্ট আইনী প্রক্রিয়ায় তাকে নির্বাচনী করার অনুমতি প্রদান করেন। এ ব্যাপারে কাজী মাহমুদুল হাসান মামুন এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সকল জটিলতা নিরশন করে আমাকে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করার অনুমতি প্রদান করেছে মহামান্য হাই কোর্ট। তিনি বলেন, আমার পছন্দের প্রতীক মোটরসাইকেল চাহিদা দেওয়া আছে। মহামান্য হাই কোর্টের আদেশের কাগজপত্র রাজশাহী জেলা রির্টানিং অফিসারের নিকট দাখিল করলে আমার পছন্দের প্রতীক আমাকে ফিরিয়ে দিবে বলে আশাবাদী।
সব মিলিয়ে চারঘাট উপজেলা নির্বাচনে প্রচার প্রচারণা জমে উঠেছে।