রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:২৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
রাজগঞ্জে মুক্তমঞ্চে মণিরামপুর পশ্চিমাঞ্চলের জামায়েত ইসলামীর উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত গাজীপুরের পূবাইলে জামায়াতে ইসলামের কর্মী সভা অনুষ্ঠিত সাতক্ষীরায় ইজিবাইক চুরির প্রাক্কালে আটক-১ নওগাঁ মান্দায় ইউপি চেয়ারম্যানের সংবাদ সম্মেলন ও প্রতিবাদ সভা গাজীপুরে আলেম উলামাদের সাথে জামায়াতের মতবিনিময় সাতক্ষীরার এসপিকে স্বপদে বহাল রাখার দাবী গাজীপুর কাশিমপুর কারাগার থেকে পলাতক মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৩ আসামি গ্রেপ্তার কুড়িগ্রামের রাজারহাটে বাড়িভিটে হারিয়ে দিশেহারা তিস্তা পাড়ের মানুষ মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দীন এর রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত কালিগঞ্জে মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন সম্পন্ন: সভাপতি গাজী মিজানুর,সম্পাদক নাজমুল

চারঘাটে গরুর লাম্পি স্কিন ডিজিজ রোগের প্রাদুর্ভাব

মৌসুমী দাস, স্টাফ রিপোর্টারঃ
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ১৮ জুলাই, ২০২৪
  • ৬৯ বার পঠিত

 

মৌসুমী দাস, স্টাফ রিপোর্টারঃ

চারঘাটে গ্রামে গ্রামে গবাদি পশুর (গরু) ল্যাম্পি স্কিন ডিজিজ রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। এতে করে প্রান্তিক পর্যায়ের গৃহস্তসহ খামারিদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ল্যাম্পি স্কিন রোগে আক্রান্ত গরুর সংখ্যা দিনদিন বেড়েই চলেছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি একটি ভাইরাসজনিত রোগ। ছাগল ও ভেড়ার পক্স ভাইরাসের সাথে এ রোগের সাদৃশ্য আছে বলে তারা জানান। এ ভাইরাস গরু ছাড়া মহিষকেও আক্রমণ করতে পারে। এক গরু থেকে আরেক গরুতে ছড়িয়ে পড়ে। আক্রান্তের সময়কাল সাধারণত বর্ষার শেষে কিংবা শরৎ ও বসন্তের শুরুতে। মশা-মাছির সাহায্যেও এ রোগ ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়তে দেখা যায়।

আক্রান্ত গরু প্রথমে জ্বরে আক্রান্ত হয় এবং খাবারের রুচি কমে যায়। জ্বরের সাথে সাথে নাক-মুখ দিয়ে লালা বের হয়, পা ফুলে যায়, দুই পায়ের মাঝে পানি জমে যায়। পশুর শরীরের বিভিন্ন জায়গায় চামড়া পি- আকৃতি ধারণ করে, লোম উঠে যায় এবং ক্ষত সৃষ্টি হয়। আর এ ক্ষত শরীরের অন্যান্য জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে। ক্ষতস্থান থেকে রক্তপাত হতে পারে। শরীরের কোথাও কোথাও ফুলে যায়, যা ফেটে টুকরা মাংসের মতো বের হয়ে ক্ষত এবং পুঁজ হয়। পাকস্থলি বা মুখের ভেতরে সৃষ্ট ক্ষতের কারণে গরুর পানি পানে অনীহা তৈরি হয় এবং খাদ্য গ্রহণ কমে যায়।

মশা ও মাছি এ ভাইরাসের প্রধান বাহক বলে তারা জানান। অন্যান্য কীটপতঙ্গের মাধ্যমেও ভাইরাসটি ছড়াতে পারে। আক্রান্ত গরুর লালা গরুর খাবারের মাধ্যমে এবং খামার পরিচর্যাকারী ব্যক্তির কাপড়ের মাধ্যমেও এক গরু থেকে অন্য গরুতে ছড়াতে পারে। আক্রান্ত গাভির দুধেও এ ভাইরাস বিদ্যমান। তাই আক্রান্ত গাভির দুধ খেয়ে বাছুরও আক্রান্ত হতে পারে। এমনকি গ্রামগঞ্জের পশুচিকিৎসকরা একই সিরিঞ্জ ব্যবহার করলে ওই সিরিঞ্জির মাধ্যমেও রোগটি অন্য গরুতে ছড়িয়ে পড়তে পারে। আক্রান্ত গরুর দুধ উৎপাদন শূন্যের কোটায় নেমে আসে।

গরু পালনকারীরা জানাচ্ছেন, গরুর শরীর প্রথমে গরম হয়ে জ্বর উঠে যায়। তারপর শরীরের কয়েক জায়গায় ছোট ছোট গুটি উঠতে শুরু করে যা একপর্যায়ে ধীরে ধীরে সারা শরীরেই ছড়িয়ে পড়ে।

মাথা, ঘাড় ও পায়ে গুটি বেশি দেখা দেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় গরুর মুখ দিয়ে লালা পড়া শুরু হয় এবং গরুর খাবারে অনীহা দেখা দেয়, গরু দুর্বল হয়ে পড়ে।

খামারি ও কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সাধারণত চর্মরোগটি গ্রীষ্মের শেষ ও বর্ষার শুরুর দিকে বছরে দুবার ছড়িয়ে পড়ে। সাধারণত মশা, মাছি ও বিশেষ পোকার মাধ্যমে গরুর দেহে ভাইরাস ছড়ায়। এ ছাড়া সংক্রমিত গরুর সঙ্গে খাবার গ্রহণ করলেও এ রোগ ছড়াতে পারে।

এ বলেন বিষয়ে জানতে চাইলে  চারঘাট উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা সরকার এনায়েত কবির বলেন, বর্তমান চারঘাট উপজেলায় ৩৫০ টি গরুর খামার রয়েছে। তার মধ্যে রেজিষ্ট্রেশন কৃত ১৪ টা খামার রয়েছে বলে তিনি জানান। ল্যাম্পি স্কিন ডিজিজ সাধারণত বর্ষাকালে হয়ে থাকে এ জন্য আতংকিত না হয়ে পূর্ব থেকে সর্তক থাকতে হতে হবে। যেমন: গরুর ঘর সব সময় পরিস্কার রাখতে হবে, গরুর ঘরে ব্রিসিং পাউডার ব্যবহার করতে হবে।

প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আরও জানান, এই রোগের কোন ভ্যাকসিন বা ঔষধ সরকারি ভাবে উৎপাদন হয়নি। তবে কিছু কিছু কোম্পানি বেসরকারি ভাবে ভ্যাকসিন তৈরি করে বাজারে সরবরাহ করছে তবে সেটা সিমিত।

তিনি বলেন, এ রোগ প্রতিরোধের জন্য গ্রামে গ্রামে আমি নিজে উপস্থিত হয়ে উঠান বৈঠক করে গরু পালনকারীদের সচেতনতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে এবং গরু আক্রান্ত হলে সাথে সাথে তারা স্থানীয় প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরে এসে তাদের সাথে পরামর্শ ও ঔষধ সংগ্রহ করার  জন্য তিনি বলেন। এ ছাড়া প্রত্যেকটি গ্রামে একজন করে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত কর্মী আছে তাদের সাথে পরামর্শ করে গরুর চিকিৎসা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।

সাংবাদ পড়ুন ও শেয়ার করুন

আরো জনপ্রিয় সংবাদ

© All rights reserved © 2022 Sumoyersonlap.com

Design & Development BY Hostitbd.Com

কপি করা নিষিদ্ধ ও দণ্ডনীয় অপরাধ।