মৌসুমী দাস, স্টাফ রিপোর্টারঃ
সারাদেশের মত রাজশাহীর চারঘাটে ও বেড়েছে ঘন ঘন লোডশেডিং। তীব্র গরম আর ঘনঘন লোডশেডিংয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন।
এক ঘণ্টা পরপর লোডশেডিং হচ্ছে। বিদ্যুৎ না থাকায় এটিএম বুথ, স্টুডিও, ওয়েলডিং কারখানাসহ ছোট-বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কাজ ব্যাহত হচ্ছে। একইসঙ্গে কয়েক সপ্তাহ ধরে অনাবৃষ্টিতে আমন ক্ষেতে সেচ দিতে হচ্ছে কৃষকদের। কিন্তু বিদ্যুৎ বিভ্রাটে সেচ ব্যবস্থা হচ্ছে বাধাগ্রস্ত। সেচ প্রকল্পের বেশিরভাগ গ্রাহক পল্লী বিদ্যুতের আওতাভুক্ত হওয়ায় লোডশেডিংয়ের প্রভাব পড়ছে।
বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বেশির ভাগ এলাকায় বিদ্যুৎতের লোডশেডিং হয়েছে। ভ্যাপসা গরমের মধ্যে এমন লোডশেডিংয়ে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে। রাজশাহী জেলার কয়েকটি উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। তাদের লোডশেডিং নেসকোর চেয়ে আরো বেশি। এতে সেচ সংকটে পড়েছেন গ্রামের কৃষক।
নেসকো বলছে, কোনো এলাকায়ই চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না। ঘাটতির পরিমাণ অনেক। এ কারণে বাধ্য হয়ে লোডশেডিংয়ের কবলে পড়তে হচ্ছে গ্রাহকদের।
পৌর এলাকার গৃহিণী সিদ্দিকা কামাল নাজু বলেন, লোডশেডিংয়ে ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার ক্ষতি হচ্ছে। গরমে রাতে ঘুমাতে পারি না।
ওয়ার্কশপ ব্যবসায়ী তৈয়ব মিয়া বলেন, বিদ্যুতের ওপরই মূলত আমাদের ব্যবসা। বিদ্যুৎ ঠিকমতো না পাওয়ায় আমাদের অনেক কাজ অসমাপ্ত থেকে যায়। ঠিকমতো পণ্য ডেলিভারি দিতে পারছি না।
এ বিষয়ে চারঘাট পল্লী বিদ্যুৎ-২ এর জোনাল ম্যানেজার রঞ্জন কুমার এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম পাচ্ছি। এ কারণে ঘাটতি পূরণে লোডশেডিং দিতে হচ্ছে।
এ লোডশেডিং কতদিন থাকবে জানতে চাইলে তিনি বলেন এ রকম কোন সময় নির্ধারণ করা যাবে না কতদিন থাকবে। তিনি আরও বলেন, বৃষ্টি হলে লোডশেডিং এর পরিমান কমে যাবে বলে তিনি জানান।
দাইয়ানুর রহমান (সম্পাদক) তাপস কুমার ঘোষ (প্রকাশক) শিমুল হোসেন, (নির্বাহী সম্পাদক) আজহারুল ইসলাম-বাবলু হোসেন ( নির্বাহী সম্পাদক)
অফিসঃ পশ্চিম শেওড়াপাড়া- ইকবল রোড বাসা নং- ৪১৬/৪ মিরপুর ঢাকা-১২১৬,
Email: Info@sumoyersonlap.com, taposhg588@gmail.com,shimul00252@gmail.com
01715522822, 01728.855627, 01710118632, 01709255325
https://www.sumoyersonlap.com
কপি করা নিষিদ্ধ ও দণ্ডনীয় অপরাধ।