সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:২৩ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ

চিতলমারীর কলাতলা ইসহাক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ

রিপোর্টার নামঃ
  • আপডেট সময় রবিবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
  • ২৭৭ বার পঠিত

বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ

বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার কলাতলা ইসহাক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কে,এম রাজু(আফজাল) এর বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। স্কুল চলাকালীন সময়ে এসব অনিয়মের বিষয়ে অভিভাবকদের ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায়।

নাম প্রকাশ না করা শর্তে এক শিক্ষার্থী বলেন,স্কুলে নিয়মিত পাঠদান করানো হয় না। প্রধান শিক্ষকসহ অন্যান্য শিক্ষক তাদের খেয়াল খুশি মতো স্কুলে আসা-যাওয়া করেন। অফিস সহায়ক ও পিয়ন দিয়ে চলে পাঠদান।

স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সদস্য সাইফ আল মামুন খান বলেন,হঠাৎ করে আমি আর ইদ্রিস ভাই বিদ্যালয় যাই ছাত্র-ছাত্রীদের খোঁজ খবর ও স্যার ক্লাসে কি পড়ায় সেটা দেখার জন্য গিয়ে তো আমরা অবাক হয়ে গেলাম। ক্লাস করাচ্ছেন স্কুলের কেরানি ও পিয়ন। তাদের কিছু না বলে আমরা অফিসে যেয়ে দেখি ৫ জন সহকারী শিক্ষকদের নিয়ে গল্প করতেছে প্রধান শিক্ষক । আমরা প্রধান শিক্ষকের পাশে বসে আয়া মনিয়া আপাকে ক্লাস রুটিনটা আনতে বললাম। ক্লাস রুটিনে দপ্তরির নামও আছে। রুটিনে প্রধান শিক্ষকের নাম আছে কিন্তু ক্লাসের ঘর ফাঁকা দেখে আমরা ক্লাসে গিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে জিজ্ঞেস করলাম প্রধান শিক্ষক কোনো ক্লাস নেয় তখন সকল ছাত্র-ছাত্রী বললেন স্যার কোন ক্লাস নেন না। তাহলে প্রধান শিক্ষকের কাজ কি? কমিটিতে নতুন যখন আসি প্রধান শিক্ষক এক ক্লাস নিয়ে প্রায়ই চলে যেত। একদিন স্কুলের সভাপতি তাইজুল ইসলাম তারা ফকিরকে জিজ্ঞেস করলাম প্রধান শিক্ষক এক ক্লাস নিয়ে কই গেল তখন সে বলল অফিসের কাজে চিতলমারী শিক্ষা অফিসারের কাছে গেছে। আমি আর ইদ্রিস ভাই সেই সময় শিক্ষা অফিসারের কাছে যাই। আমরা জিজ্ঞেস করলাম ইসহাক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কোন কাজে আশার কথা ছিলো অফিসার বললেন না। প্রধান শিক্ষকে ফোন দিলাম আপনি কই উনি তখন বললেন আমি শিক্ষা অফিসারের সাথে মিটিংয়ে আছি। আমি তখন বললাম আমি আর ইদ্রিস ভাই তো শিক্ষা অফিসারের অফিসে আছি অফিসার ও সামনে আছে তখন উনি বললেন আমার ২০ মিনিট সময় লাগবে আসতে। ক্লাস নবম ও দশম শ্রেণি পর্যন্ত যারা সব বিষয় পাশ করেছে তাদের কাছ থেকেও তিন থেকে পাঁচশত টাকা পর্যন্ত নিয়েছে। ফরম ফিলাপের সময় যারা ৪/৫ সাবজেক্টে ফেল করেছে তাদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে ফরম ফিলাপ করে দিছে।

স্কুল ম্যানেজিং কমিটির আরেক সদস্য ইদ্রিস মোল্লা বলেন,স্যার নিজের খেয়াল মত চলে, ভর্তির সময় টাকা নেয়। বই দেওয়ার সময় টাকা নেয় আমি জিজ্ঞেস করলাম বই দেওয়ার জন্য টাকা নেন কেন স্যার বললেন সব জায়গায় টাকা নেয় তাই আমরাও নিই। এ টাকা স্যার কি করে? স্যাররে প্রায়ই দেখি স্কুলে এসে কিছুখন থেকে চলে যায়। এবং ক্লাস রুটিনে পিয়ন ও অফিস সহায়ক এর নাম স্যার কোন ক্লাস নেয় না তাহলে স্যারের কাজ কি?

এ বিষয় প্রধান শিক্ষক কে, এম রাজু(আফজাল) এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সভাপতি ছাড়া আমি কোন বক্তব্য দিতে পারবো না।

চিতলমারী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোছাঃ কামরুননেছা বলেন,এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ আসেনি। আমি কিছু দিন আগে স্কুল পরিদর্শন করেছি দেখলাম সব ঠিক আছে।তারপরও আমি কথা বলে দেখতেছি।

সাংবাদ পড়ুন ও শেয়ার করুন

আরো জনপ্রিয় সংবাদ

© All rights reserved © 2022 Sumoyersonlap.com

Design & Development BY Hostitbd.Com

কপি করা নিষিদ্ধ ও দণ্ডনীয় অপরাধ।