প্রিন্ট এর তারিখঃ নভেম্বর ২৪, ২০২৪, ১০:৩৮ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ মার্চ ২৯, ২০২৩, ৯:১৭ পি.এম
চিলমারীতে শেষ হলো ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ঐতিহ্যবাহী অষ্টমীর স্নান ও মেলা
জয়ন্ত সাহা যতন,স্টাফ রিপোর্টারঃ বুধবার কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ঐতিহ্যবাহী অষ্টমীর স্নান ও মেলা সুসম্পন্ন হয়েছে। প্রায় ৪ শত বছর ধরে প্রতিবছর চৈত্র মাসের শুক্ল পক্ষের অষ্টমী তিথিতে ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে এই ঐতিহ্যবাহী স্নান উৎসব অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। হিন্দু ধর্ম মতে এটি একটি পুণ্য কর্ম এবং স্নানের স্থানটি তীর্থ স্থান। এবারে পঞ্জিকা হিসাব অনুযায়ী মঙ্গলবার রাত ১০টা থেকে শুরু হয়ে বুধবার রাত ১০টা পর্যন্ত ছিল স্নানের সময়। তিথি অনুযায়ী বুধাষ্টমী হওয়ায় স্নানের কোন নির্দিষ্ট লগ্ন ছিল না। পুরো ২৪ ঘণ্টাই ছিল স্নানের সময়। তাই দূর-দূরান্ত থেকে আসা পুণ্যার্থীরা সারাদিনব্যাপী নিজেদের সুবিধামত সময়ে স্নানকার্য সম্পন্ন করেন।
হে মহা ভগ ব্রহ্মপুত্র,হে লৌহিত্য,তুমি আমার পাপ হরণ করো। মন্ত্র উচ্চারণ করে ব্রহ্মার নিকট কৃপা চেয়ে স্নান উৎসবে মেতে উঠেন পূণ্যার্থীরা। প্রায় ৫লক্ষাধীক পূণ্যার্থীর পদচারনায় মূখরিত হয়ে উঠেছিল চিলমারীর ব্রহ্মপুত্র পাড়ের প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকা।রংপুর থেকে স্নান উৎসবে আসা পূন্যার্থী সুমী রানী জানান,বুধা(বুধবার)অষ্টমী হওয়ায় অষ্টমী স্নানের আনন্দটা একটু বেশী। তাই অনেক কষ্ট করে স্নান করতে এসেছি,পরিবেশ ভাল থাকায় স্নান করে তৃপ্তিও পেয়েছি।
অষ্টমী স্নান উৎসব কমিটির ভাষ্যমতে প্রতি বছরের মত এবারও ভারত,নেপাল ও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা ৫লক্ষাধীক পূণ্যার্থী যোগ দিয়েছে স্নান উৎসবে। স্নান উৎসবটি বুধবার অনুষ্ঠিত হওয়ায় ভারত ও নেপাল থেকে বেশি সংখ্যক হিন্দু ধর্মাবলম্বী এসেছিলেন বলে ধারনা করা হচ্ছে।স্মান উপলক্ষে প্রশাসনসহ বেসরকারী সংগঠনের উদ্যোগে এই স্নান উৎসবকে সাফল্যমন্ডিত করতে নেয়া হয়েছিল নানা ধরণের প্রস্তুতি।এরআগে মঙ্গলবার সকাল থেকে অনেক দূরদূরান্ত থেকে স্নান উৎসবে আসতে শুরু করেছিল পুর্ণ্যার্থীরা এবং বিভিন্ন স্কুল কলেজ সহ বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিয়েছিল ভক্তবৃন্দরা।
চিলমারী মডেল থানার অফিসার ইনর্চাজ মো. আতিকুর রহমান জানিয়েছেন, আইন শৃঙ্খলা রক্ষার্থে এবার স্নান উৎসবে জেলা উপজেলা মিলে ২ থেকে ৩ স্তরে ৯০জন পুলিশ সদস্য মাঠে থেকে কাজ করেছে। সেই সাথে যানজট নিরসনে কাজ করতে ট্রাফিক পুলিশও মাঠে ছিল।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাহবুবুর রহমান জানান, সরকারীভাবে অষ্টমীর স্নান মেলার স্থানে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প, বিশুদ্ধ পানীয় জলের জন্য নলকূপ স্থাপন, পোষাক পরিবর্তনের বুথ রয়েছিল ৩৮টি। সেই সাথে মেলায় পয়ঃনিষ্কাশনের জন্য বেসরকারী ৭টি সংস্থা ৩৫টি অস্থায়ী পয়ঃনিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। পাশাপাশি অধিক নিরাপত্তার জন্য শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক ছিল এই স্মান উৎসবে।
দাইয়ানুর রহমান (সম্পাদক) তাপস কুমার ঘোষ (প্রকাশক) শিমুল হোসেন, (নির্বাহী সম্পাদক) আজহারুল ইসলাম-বাবলু হোসেন ( নির্বাহী সম্পাদক)
অফিসঃ পশ্চিম শেওড়াপাড়া- ইকবল রোড বাসা নং- ৪১৬/৪ মিরপুর ঢাকা-১২১৬,
Email: Info@sumoyersonlap.com, taposhg588@gmail.com,shimul00252@gmail.com
01715522822, 01728.855627, 01710118632, 01709255325
https://www.sumoyersonlap.com