আবু বক্কার, সাপাহার (নওগাঁ) প্রতিনিধিঃ
প্রখর রোদের উত্তাপ গায়ে মেখে চোখ ধাঁধানো রক্তিম টুকটুকে লাল কৃষ্ণচূড়ায় সেজেছে নওগাঁর সাপাহার উপজেলার উপজেলার হাসপাতাল মোড়ে টুকটুকে এই লাল ফুলে প্রকৃতি যেন সেজেছে আরেক নতুন সাজে। এই সময়টায় উপজেলার বিভিন্ন স্থানের পথে প্রান্তরে ফুটেছে কৃষ্ণচূড়া। দূর থেকে দেখলে মনে হয়, গ্রীষ্মের রৌদ্দুরের সবটুকু উত্তাপ গায়ে মেখে নিয়ে ফুটেছে সবুজ চিরল পাতার মাঝে এই রক্তিম পুষ্পরাজি, যেন আগুন জ্বলছে।
পথিকের মনে কৃষ্ণচূড়ার ছায়া যেন প্রশান্তি এনে দেয়। পথচারীরা অবাক বিস্ময়ে, পুলকিত নয়নে উপভোগ করেন কৃষ্ণচূড়ার এই অপরুপ সৌন্দর্য। বিজ্ঞানীদের মতে, কৃষ্ণচূড়া তিন রঙের হয়। লাল, হলুদ ও সাদা। কম হলেও হলদে রঙের কৃষ্ণচূড়া চোখে পড়ে। তবে সাদা রঙের কৃষ্ণচূড়ার দেখা মেলে না বললেই চলে। তিন রঙের কৃষ্ণচূড়া গাছর উঁচুতে অনেকটা জায়গা জুড়ে বিস্তার ঘটায়। বসন্ত শেষে ও গ্রীষ্মের রোদের দাহের মধ্যে প্রায় একই সময়ে তিন রঙে-ই কৃষ্ণচূড়া ফুল ফোটে প্রকৃতিকে নতুন রুপ দেয়। শুষ্ক ও লবণাক্ত অবস্থায় এই বৃক্ষ প্রাকৃতিকভাবেই জন্মে থাকে
বাংলাদেশে কৃষ্ণচূড়া ফুল ফোটে সাধারণত এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত। তবে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে কৃষ্ণচূড়ার ফুল ফোটার সময় বিভিন্ন।
সরেজমিন দেখা গেছে, সাপাহার উপজেলার প্রায় প্রতিটি সড়কেই কৃষ্ণচূড়া ফুলের দেখা মিলছে।