মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধিঃ
টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর উপজেলার বাঁশতৈল ইউনিয়নের আমতৈল পাড়ায় এমন ঘটনা ঘটেছে।ওই এলাকার মো: রফিকুল ইসলামের ছেলে জাহিদুল ইসলাম (১৬) একই এলাকার ফজলুর রহমানের মেয়ে শিফা আক্তার (১৭) কে নিয়ে ভাগিয়ে টাঙ্গাইল কোর্টে গিয়ে ১৩ই ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ইং কোর্ট ম্যারেজ করেন।
বিষয়টি ঐদিনই জানাজানি হলে দুই পক্ষ মিলিয়ে ছেলে-মেয়েকে বাড়িতে আনেন। পরে স্থানীয় মাতাব্বরসহ দুই পক্ষের অভিভাবকের উপস্থিতিতে মেয়েকে মেয়ের বাবার কাছে দিয়ে দেন।যার একটি ভিডিও ফুটেজ আছে।
ঐ মেয়েকে নিয়ে যাওয়ার সময় দুই পক্ষের অবিভাবকই প্রতিশ্রুতি দেন তারা মামলাসহ কোনো ঝামেলা করবে না।পরবর্তীতে মেয়ের মা নিলুফা বেগম বাদী হয়ে সাত জনকে বিবাদী করে টাঙ্গাইল কোর্টে একটি মামলা দায়ের করেন।বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সংবাদ সম্মেলনে করে মেয়ের মা এসব কথা বলেন।
ঐ মামলায় ছেলের মা সহ চারজন জেলে যান। এখনো দুইজন জেলে আছেন বলে জানা যায়।
ছেলের মা জোসনা বেগন সাংবাদিকদের বলেন, সকলের উপস্থিতিতে দুই পক্ষের ইজ্জতের দিকে তাকিয়ে আমরা মেয়েকে তার অবিভাবকের হাতে তুলে দেই। তার অবিভাবকসহ আমরা কোনো ঝামেলায় জড়াব না এই প্রতিশ্রুতি থাকলেও তারা কোন কথা রাখেনি।মেয়েও বলেছে সে তার নিজ ইচ্ছাই এসেছে,তারপরও আমরা মেয়েকে তাদের দিয়ে দিয়েছি। তারপর হঠাৎ আমরা শুনতে পারি তারা আমাদের নামে মামলা করেছে। পরে বাড়ির পাশে আমাকে একা পেয়ে মেয়ের মাসহ পাঁচ সাতজন মিলে মারধর করেন। পরে আমি কোনো উপায় না পেয়ে আমিও একটা মামলা করি। আমি এর সুষ্ঠু একটি বিচার চাই, আমি আমার ছেলের বউ চাই।