নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
জমির হারির টাকা ও হয়রানির প্রতিবাদে সুন্দরবন উপকূল শ্যামনগরের গাবুরায় এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সাতক্ষীরার সুন্দরবন সংলগ্ন গাবুরা ইউনিয়নের কপোতাক্ষ নদী পাড়ে খলিশাবুনিয়া মৎস্য ঘেরের ডিড অনুযায়ী হারির টাকা না দিয়ে প্রভাব খাটিয়ে জমির মালিকদের হুমকি, ভয়-ভীতি দেখিয়ে জমি দখলের চেষ্টা ও হয়রানির অভিযোগ উঠেছে সাবেক এক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে। এতে মানবেতর জীবনযাপন করছেন ২৮০ বিঘা জমির অন্তত ৯২ জন মালিক ও তাদের পরিবারের শতাধিক সদস্য । হারির টাকা ও জীবনের নিরাপত্তা পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়ে মানববন্ধন করেছেন তারা। শনিবার (১৮ মে) বেলা বারোটার দিকে শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের কপোতাক্ষ নদী সংলগ্ন খলিশাবুনিয়ায় (৩ নং) অবস্থিত ওই ২৮০ বিঘা জমির মৎস্য ঘেরের বাঁধের উপর এই মানববন্ধন হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ২০২২ সালে প্রথম বছরে বিঘা প্রতি ২ হাজার টাকা ও ২০২৩ সালে বিঘা প্রতি ৫ হাজার টাকা এবং পরবর্তী বছরগুলো পার্শ্ববর্তী জমির হারি অনুযায়ী বার্ষিক চুক্তিমূল্যে গাবুরা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি চাঁদনীমুখা এলাকার রূপচাঁদ সরদারের ছেলে মিজানুর রহমানের সঙ্গে ডিডের মাধ্যমে জমি লিজ দেন তারা। যার মেয়াদ ছিল ২০২৭ সাল পর্যন্ত।
কিন্তু চুক্তিমূল্য অনুযায়ী চলতি বছরসহ তিন বছরে ২৭০ বিঘা জমির একটি টাকাও জমির মালিকদের হারি দেওয়া হয়নি। একই সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে ঘের এলাকায় বহিরাগতদের এনে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টিসহ জমির মালিকদের সাথে বনিবনা না হওয়ায় জমির মালিকরা আদালতের মাধ্যমে ডিড বাতিল করে।
বর্তমানে মিজানুর রহমান আমাদের ঘের দখলসহ জমির মালিকদের বিভিন্ন সময় হুমকি-ধামকি ও হামলার হুমকি দিচ্ছে। এছাড়াও জমির মালিকদের অগোচরে জমি অন্যত্র হস্তান্তরের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে দাবি করেন তারা।
বক্তারা আরও বলেন, দীর্ঘদিন হারির টাকা না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন জমির মালিকেরা। তারা অবিলম্বে জমির হারির টাকা ও তার হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার দাবি জানান।ভুক্তভোগীরা সাতক্ষীরা ৪ আসনের সংসদ সদস্য এস এম আতাউল হক দোলন, সাতক্ষীরার পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ করেছেন কিন্তু ঘের মালিক মিজানুর রহমান অব্যাহত হুমকি ও ষড়যন্ত্র করে অসহায় জমির মালিকদের হয়রানি করছেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন জমির মালিক মাসুদ মোল্লা, আব্বাস গাজী, নুরুন্নেসা বেগম, ফাতেমা খাতুন, সাহিদা খাতুন, আব্দুর রহিম, হাবিবুল্লাহ, আব্দুল মান্নান প্রমুখ।
ঘের মালিক মিজানুর রহমান বলেন, ওই ঘেরটা কপোতাক্ষ নদীর একবারে পাশে হওয়ায় বিভিন্ন সময়ের প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেই হিসাবে আমি ডিড করার পরে সেটি সংস্কার করতে আমার এক থেকে দেড় বছর সময় লাগে। তাতে আমার অনেক টাকা খরচ হয় কিন্তু জমির মালিকরা আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের ইন্ধনে আমার সাথে জমির ডিড বাতিল করেছেন।