বকশীগঞ্জ(জামালপুর)প্রতিনিধিঃ
জামালপুরের বকশীগঞ্জে নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে অবৈধভাবে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি বাতিলের দাবি জানিয়েছেন সাবেক এক ইউপি চেয়ারম্যান।
মেরুরচর ইউনিয়নের ভাটি খেওয়ারচর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পকেট কমিটি বাতিলের দাবিতে ২৬ সেপ্টেম্বর ময়মনসিংহ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মেরুরচর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান।
স্থানীয় রবিয়ারচর গ্রামের বাসিন্দা ও সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান জানান, ভাটি খেওয়ারচর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুর মোহাম্মদ সম্প্রতি গোপনে নিজের আত্মীয় স্বজন দিয়ে ম্যানেজিং কমিটি গঠন করেন।
কমিটি গঠন করার লক্ষ্যে কোন ধরণের প্রচার-প্রচারণা , কোন অভিভাবক, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের অবগত করা হয়নি এবং কি ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও জানেন না কবে কমিটি ও কারা কারা ওই কমিটিতে আছে।
গোপনে কমিটি গঠনের পর বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়। এতে এলাকাবাসী, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়।
প্রধান শিক্ষক গোপনে যে কমিটি গঠন করেছেন তাতে সভাপতি ক্যাটাগরিতে দেওয়া হয়েছে তার চাচাত ভাইকে।
দাতা সদস্য ক্যাটাগরিতে রয়েছেন মামাত ভাই। নারী শিক্ষক শিক্ষক ক্যাটাগরিতে রয়েছেন তার শ্যালিকা, পুরুষ শিক্ষক ক্যাটাগরিতে রয়েছেন তার ভাগনি জামাইকে। নিজের পথ পরিস্কার করতে এভাবে প্রতিটি সদস্য ক্যাটাগরিতে নিজস্ব বলয় তৈরি করেছেন প্রধান শিক্ষক নুর মোহাম্মদ ।
তার একক স্বেচ্ছাচারীতার কারণে অন্যকোন শিক্ষক দুর্নীতি নিয়ে কথা বলতে সাহস পান না।
একারণে তিনি বিদ্যালয়ের সেকশন খোলার কোন প্রয়োজন না হলেও নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য অবৈধভাবে সেকশন খোলার পাঁয়তারা করছেন।
সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান জানান, প্রধান শিক্ষকের স্বেচ্ছাচারীতা, দুর্নীতি বন্ধ না হলে এই বিদ্যালয়টি ধ্বংসের মুখে পতিত হবে। তাই তিনি অবৈধ ম্যানেজিং কমিটি বাতিল করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
অভিযোগের বিষয়ে অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুর মোহাম্মদ জানান, বিধিমোতাবেক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি গঠনের কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। বিদ্যালয়ে কোন বিষয়ে দুর্নীতি হয় নি।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ছরুয়ার আলমকে এ বিষয়ে বার বার ফোন দেওয়া হলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।