ঝালকাঠি জেলা জুরে চুরি-ডাকাতি,ছিনতাই,হত্যা,কিশোর গ্যাং,মাদকসহ প্রতিনিয়ত অপরাধ কর্মকান্ড বেড়েই চলছে। পুলিশ অপরাধ দমনে কাগজ কলমে মাঠে থাকলেও বাস্তবে অপরাধ দিনে দিনে বেড়েই চলছে।অপরাধ দমনে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সচেতন মহলে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।সাধারণ মানুষ পুলিশের প্রতি আস্থা হারাচ্ছে।
গত দুই মাসে ঝালকাঠি জেলায় দিনে ও রাতে এ পর্যন্ত শতাধিক চুরি ও বেশ কয়েকটি আলোচিত ডাকাতির ঘটনা ঘটলেও এ পর্যন্ত কোন ডাকাত কে আটক বা লুটকৃত মালামাল উদ্ধার করতে না পারায় পুলিশের ব্যর্থতার কথা বলেছেন ভুক্তভোগী পরিবার গুলো।
অপরদিকে ঝালকাঠি জেলায় হাত বাড়ালেই দেখা মিলে মাদকের।শহর ও গ্রামের প্রতিটি অলিগলিতে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন নামের কিশোর গ্যাং।এদের বিরুদ্ধে পুলিশ উল্লেখযোগ্য কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না রহস্য জনক কারণে।এর কারণ হিসাবে একটি বিস্বস্ত সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে, প্রতিটি অপরাধ কর্মকান্ড থেকে পুলিশের কতিপয় কর্মকর্তা টাকার বিনিময় ঘটনা গুলো ধামা চাঁপা দিয়ে রাখে।অন্যদিকে এর পিছনে রয়েছে ক্ষমতাশীন দলের কিছু সাইবোর্ডধারি নেতারা।যে কারণে ঝালকাঠি জেলা জুড়ে অপরাধ ক্রমশই বেড়েই যাচ্ছে। ঝালকাঠি জেলায় এসকল অপরাধের তান্ডবে সাধারণ মানুষ আতংকের মধ্যে দিন যাপন করছেন।
পুলিশ জনগণের বন্ধু বললেও বাস্তবে পুলিশ ক্ষমতাশীন লোক ও অর্থদাতাদের বন্ধু হয়ে তাদের আখের গোছাচ্ছে।যে কারণে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা ও আইনি সহায়তায় ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ।এ সুযোগে অপরাধীরাও বেপরোয়া হয়ে একের পর এক অপরাধ করে পার পেয়ে যাচ্ছে।পুলিশের এহেন ভূমিকায় ঝালকাঠি জেলা জুড়ে আইনশৃংঙ্খলার চরম অবনতি দেখা দিয়েছে।অপরাধ সংগঠিত হওয়ার পর পুলিশ পিঠ বাঁচাতে দুই একজনকে আটক করলেও প্রকৃত অপরাধিরা ধরাছোয়ার বাইরে থেকেই একের পর এক অপরাধ করেই চলছে।এসকল অপরাধের মধ্যে সবচেয়ে বেশি অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে ঝালকাঠি সদর থানা এলাকায়।এরপরের স্থানে রয়েছে রাজাপুর কাঠালিয়া থানা এলাকা।
দখিনের জনপদের কলকাতা খ্যাত এক সময়ের ব্যাবসায়ীক এলাকা সবচেয়ে ছোট জেলা ঝালকাঠি।এ জেলায় দুটি পৌরসভা ও ৩২টি ইউনিয়নের তথ্যমতে নারী পুরুষসহ প্রায় সাত লাখ লোকের বসবাস।এ জেলায় নিরাপত্তার জন্য রয়েছে চারটি থানা,দুইটি পুলিশ ফাঁরি ও ছয়টি পুলিশ ক্যাম্প।
এ ব্যাপারে ঝালকাঠির পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল বলেন,ডাকাতির ঘটনায় পুলিশের কঠোর অবস্থানে অচিরেই ভালো একটি রেজাল্ট আপনারা পাবেন।পেশাদার কিছু চোরকে আমরা গ্রেফতার করেছি।
কিশোর গ্যাং সম্পর্কে তিনি বলেন,কিশোর গ্যাং এর একটি তালিকা আমরা করেছি।অপ্রাপ্ত বয়সের হওয়ায় এদেরকে সতর্ক করে নজরদারিতে রেখেছি।মাদক নির্মূলে ডিবি ও পুলিশ নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রয়েছে।আমরা আইনশৃংঙ্খলা রক্ষায় সর্বোচ্চ অবস্থানে থেকে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি।