মাসুমা জাহান,বরিশাল ব্যুরো: ঝালকাঠির রাজাপুরে জোর পূর্বক স্কুলের জমি দখল করে ভবন নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার ১০০ নং মধ্য রাজাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটেছে। অজ্ঞাত কারণে স্কুল কর্তৃপক্ষসহ স্থানীয় প্রশাসন সরকারি জমি রক্ষায় কোন ব্যবস্থা নেয়নি। প্রধান শিক্ষকের দাবি- বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোন ফল পাওয়া যায়নি।
স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে জানা গেছে, স্থানীয় মৃত এনাচ আলী হাওলাদারের ছেলে আব্দুল আজিজ হাওলাদার ১৯৯১ সালের ২৭ আগস্ট ঐ স্কুলের অনুকূলে ৩৩ শতক জমি রেজিস্ট্রি করে দেয়। যার ১৬৭২ নং খতিয়ানের ৫৪৯৯ নং দাগে ১৬ শতাংশ ও ১৬৯ নং খতিয়ানের ৫৫১২ ও ৫৪১৩ নং দাগে ১৭ শতাংশ। স্কুলের বর্তমান ভবন ১৬৭২ নং খতিয়ানের ৫৪৯৯ দাগের ১৬ শতাংশে অবস্থিত। হঠাৎ করে উপজেলার চল্লিশ কাহনিয়া এলাকার মেনাজ উদ্দিনের ছেলে ও স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. জামাল তালুকদারের আত্মীয় মো. আবু হানিফ ১৬৯ নং খতিয়ানের ৫৫১২ ও ৫৪১৩ দাগে সরকারি স্কুলের লাগনো সাইনর্বোড মাটিতে ফেলে দিয়ে তার নিজের নামের সাইনর্বোড লাগিয়ে দিয়ে জমি দখলে নেয়। পরে ঐ জমিতে থাকা স্কুলের গাছপালা কেটে পাকা ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করে আবু হানিফ। স্কুলকর্তৃপক্ষ বিষটি স্থানীয় প্রশাসনে লিখিত অভিযোগ দিলেও অজ্ঞাত কারণে প্রশাসন নিরব ভূমিকা পালন করছেন।
স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. জামাল হোসেন তালুকদার জানান, স্কুলের পক্ষ থেকে প্রধান শিক্ষককে নিয়ে স্থানীয় প্রশাসনে লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোন প্রতিকার পাইনি। এসিল্যান্ড ও এক প্রভাবশালী নেতা প্রধান শিক্ষকে ডেকে কি বলেছে জানি না। এখন দেখি সেও পিছু হটছে ।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. লুৎফর রহমান খান জানান, আবু হানিফ স্কুলের জমিতে জোর করে ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করলে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে নিয়ে উপজেলার সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তা মোক্তার হোসেনের কাছে লিখিত অভিযোগ দেই। নির্বাহী কর্মকর্তা সহকারি কমিশনার (ভূমি)কে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য লিখে দিলেও সে স্কুলের পক্ষে কোন কাগজপত্র না দেখেই আমাকে ঐ জায়গায় যেতে নিষেধ করেন।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মনিবুর রহমান জানান, ঐ স্কুলের প্রধান শিক্ষককে এসিল্যান্ডের কাছে পাঠিয়েছিলাম, এসিল্যান্ড জানিয়েছে জমি স্কুলের না।
উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) অনুজা মণ্ডল মুঠোফোনে বলেন, কোন স্কুলের বিষয়ে তা আমার খেয়াল আসছে না। যদি কোন অভিযোগ থাকে তাহলে খুঁজে দেখতে হবে বলে সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে দেন। পরে একাধিকবার কল দিলেও তিনি আর ফোনটি রিসিভ করেননি।
বর্তমান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুসরাত জাহান খান বলেন, এ বিষয়ে আমার কাছে কোন অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।